শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রক্তের গ্রুপ মানুষের কোনটি হবে তা নির্ধারণ করে প্রত্যেকের রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বা রেড ব্লাড সেলের প্রাচীরে থাকা এন্টিজেন নামক এক ধরণের প্রোটিন। উদাহরণস্বরূপঃ  টাইপ এ রক্তে থাকে টাইপ এ এন্টিজেন, অন্যদিকে টাইপ বি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা বহন করে টাইপ বি এন্টিজেন। আবার যদি দুই রকম এন্টিজেন থাকে তাহলে  গ্রুপ হয় এবি৷ অন্যদিকে যদি কোন এন্টিজেন না থাকে তাহলে ব্লাড টাইপ হবে ও ৷  সতর্কতাঃ এই দুই টাইপের রক্ত যদি একই ব্যক্তির দেহে মিশ্রিত হয়, একে অন্যের বিরুদ্ধে রীতিমত বিদ্রোহ ঘোষণা করে! রক্তের প্লাজমা বা রক্তরসে থাকে নানা ধরনের অ্যান্টিবডি, যাদের কাজ হলো দেহের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন সব রাসায়নিক প্রবেশে বাঁধা দেয়া। এমনকি যেসব এন্টিজেন আমাদের দেহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এন্টিবডিগুলোর কাজ হচ্ছে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া। বিপত্তিটা মূলত এখানেই। যখন ভুল এন্টিজেনবাহী রক্ত মানবদেহে প্রবেশ করানো হয়, রক্তের প্লাজমায় অবস্থানকারী এন্টিবডিগুলো সেই এন্টিজেনের সঙ্গে লেগে যায়, রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে ফেলে। ফলে, রক্তনালী দিয়ে রক্ত প্রবাহ ব্যহত হয়, যেটি একটি ভয়াবহ ঝুঁকির ব্যাপার। ভুল গ্রুপের সামান্য কয়েক মিলিলিটার রক্তই সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। এ কারণে যার যার নিজের রক্তের গ্রুপ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ