শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সুষম খাদ্য খাদ্যে প্রধানত ছয়টি পুষ্টি উপাদান থাকে। মানুষের দেহের স্বাভাবিক পুষ্টির জন্য বিভিন্ন উপাদান বহুল যেসব খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন এবং যে পরিমাণে প্রয়োজন সেই পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীকে সুষম খাদ্য বলে। দেহের প্রযোজনীয় প্রোটিন, ক্যালরি, ভিটামিন, খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করার জন্য আমাদেরকে প্রতি বেলায় সুষম খাবার খেতে হবে। সুষম খাবারের জন্য খুব ব্যয়বহুল খাবারের দরকার হয় না বরং কোন খাদ্যে কি পরিমাণে এবং কি ধরণের খাদ্য উপাদান ও পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানা ও মেনে চলা দরকার। নিম্নের তালিকায় খাদ্যের উপাদান, এর উৎস ও খাদ্যের কাজ তুলে ধরা হলোঃ বিভিন্ন বয়সের সুষম খাদ্যঃ মানুষের জীবনে সব বয়সে একই পরিমাণ ও একই রকম খাবার লাগে না। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ঠিক করার ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি বা তাপশক্তির বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বয়স ও শ্রমভেদে ক্যালরি চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক চাহিদা ২৫০০-৪০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হয়, আবার একই অবস্থায় একজন নারীর চাহিদা ১৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে। খাদ্যের উপাদান পুষ্টি উপাদান উৎসসমূহ    কাজ শর্করা চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, আলু, গুড়, চিনি, কচুমুখী ইত্যাদি৷ শর্করা প্রধানত শক্তি উৎপাদনকারী। আমিষ বা প্রোটিন সবরকম ডাল, সীমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি৷ দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে। স্নেহ বা চর্বি সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমূখী, বাদাম, ঘি, মাখন, চর্বি, মাছের তেল ইত্যাদি। স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে,  তবে এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম : দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবুজ শাক ও ছোট মাছ ইত্যাদি। দেহের গঠন ও ক্ষয়পূরণে ভূমিকা রাখা। ভিটামিন থায়ামিন (বি১): চাল, কলিজা, ডিম, বাদাম। রাইবোফ্লাবিন(বি২): দুধ, ডিম, শাক, কলিজা। সায়ানোকোবালমিন(বি১২): মাছ, মাংস, দুধ। ফলিক এসিড: সব রকমের তাজা শাক সবজি। সি: টক জাতীয় ফল ও তাজা শাক সবজি। ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ: রঙিন ও সবুজ শাক, পাকা আম, পাকা কাঁটাল, গাজর, পাকা পেঁপে, কলিজা, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। পুষ্টির কাজে ও দেহ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে। পানি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি দেহের গঠন ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ