শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার কালো চুল কি দিনে দিনে খয়েরি বা লাল হয়ে যাচ্ছে ? তাহলে এবার সাবধান হবার সময় এসে গেছে। এই সমস্যাটা আজকাল অনেকের মধ্যেই খুব দেখা যাচ্ছে। মনে রাখবেন যদি আপনার চুলের প্রাকৃতিক রঙ কালো হয় তবে চুল আপনা থেকেই লাল হয়ে যাওয়া সাধারণ ঘটনা নয়। কী কী কারণে চুল লাল হতে থাকে? ১) চুলের ড্যামেজ বা অপুষ্টির কারণে চুল কালো থেকে লাল হয়ে যায়। সূর্যের রশ্মির ক্ষতিকর UV ray আমাদের চুলের ড্যামেজ করে আর চুল লাল করার জন্য একটা বিশেষ কারণ। ২) যে পানি আপনি ব্যবহার করছেন সেটাও একটা বিশেষ কারণ হতে পারে। পানিতে ক্লোরিন বা আইরন থাকলে চুলের ভালো রকমের ক্ষতি করে। ৩) আপনি যে প্রোডাক্ট চুলে লাগান তাতে যদি পেরক্সাইড থাকে সেটা চুলের ভীষণ ক্ষতি করে। ৪) চুলে ভীষণ গরম কিছু লাগালে যেমন হেয়ার স্ট্রেটনার অথবা হেয়ার কার্লার এইসব বেশি ব্যবহার করলে চুল বাদামি রঙের হতে থাকে। ৫) চুলে অনেক বেশি পরিমানে আর ঘন ঘন মধু লাগালেও চুল তার স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে ফেলে। প্রতিকারঃ সমস্যা যখন আছে তার প্রতিকারও আছে। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু সমস্যা এড়ানো যাবে। তাহলে দেখে নেয়া যাক এর প্রতিকারগুলো – ১) রোদে বের হওয়ার আগে আর গোসলের পরে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে লিভ-অন কন্ডিশনার বা হেয়ার সেরাম। এটা চুলকে রোদ আর পলিউশনের হাত থেকে আপনার চুলকে বাঁচাবে। ২) যদি সারাদিন বা অনেক সময়ের জন্য রোদে বের হতে হয় তাহলে মাথাটা একটা স্কার্ফ দিয়ে বা ওড়না দিয়ে ভালো করে ঢেকে নিতে হবে। আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোরাল স্কার্ফ এতে আপনাকে দারুন স্টাইলিশ দেখাবে আর আপনি সবার মধ্যমনি হয়ে উঠবেন। একেই বোধ হয় বলে রথ দেখা আর কলা বেচা মানে স্টাইল আর স্বাস্থ্য দুটোই একসাথে। ৩) চুলের জন্য কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে হারবাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। ৪) ভেজা চুলে রাস্তায় বের হবেন না। এতে বাইরের ধুলো ময়লা সব চুলে আটকে থাকবে আর এর ফলে চুল রুক্ষ আর ফ্রিজি হয়ে যাবে। তাই বাইরে বের হবার আগে চুল শুকিয়ে বের হতে হবে। তাই বলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো উচিত নয়।চুল শুকানোর জন্য সেরাম লাগিয়ে নিয়ে মাঝে মাঝে মোটা চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে এতে চুল শুকিয়ে যাবে। ৫) সান ড্যামেজের হাতে থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই আছেন যারা ছাতা ব্যবহার করেন না কিন্তু আমাদের দেশের এরকম আবহাওয়াতে ছাতা ব্যবহার অতি আবশ্যক। ৬) এটা বলার দরকার রাখে না কিন্তু হেলদি ডায়েট অবশ্যই বজায় রাখতে হবে আর প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে। হোম রেমেডিঃ ১) শ্যাম্পুর সাথে একটু কোকো মিশিয়ে নিয়ে লাগানো যেতে পারে। চুল ধোওয়ার জন্য সয়া সস আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে এই মিশ্রণটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। ২) সপ্তাহে একদিন করে প্রোটিনরিচ হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। এর জন্য একটা ডিম ফেটিয়ে নিয়ে এর সাথে এক কাপ  টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে এই মিশ্রণটাকে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এবারে শ্যাম্পু করার আগে এটা লাগিয়ে নিন ও কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চুলের ব্যাপারে অনেক ছেলেই উদাসীন থাকে। এতে একটা সময় গিয়ে তাদের চুলে নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায়। অকালে পড়তে পারে টাক। ছেলেরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকে এতে তাদের চুলের অধিক যত্ন প্রয়োজন। চলুন জেনে, নিই ছেলেরা কিভাবে উজ্জ্বল চুল পেতে পারে। ১) ভাল একটি শ্যাম্পু বেছে নিন: আজকার ছেলেদের চুলের উপযোগী বিভিন্ন শ্যাম্পু পাওয়া যায়। কিন্তু সপ্তাহে কয়দিন শ্যাম্পু করতে হবে, চুলের ধরণের সাথে মিলিয়ে কি ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে এই ব্যাপারগুলো অনেকেই জানে না। উলটো অনেকে আজেবাজে কিংবা চুলের সাথে সামঞ্জস্যহীন ব্র্যান্ড ব্যবহার করার কারণে চুলের আরো ক্ষতি করে ফেলে। তাই নিজের চুলের ধরণের সাথে মিলিয়ে ভাল একটি শ্যাম্পু বেছে নিন। ২) শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল ঝরঝরে হয়ে ওঠে। তাই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার এর স্থলে এক মগ পানিতে লেবুর রস দিয়েও চুল ধুয়ে নিতে পারেন। কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কন্ডিশনার যেন চুলের গোড়া ও মাথার ত্বকে না লেগে থাকে সেটাও খেয়াল রাখবেন। ৩) মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুনঃ মাথায় তেল লাগানোর সময় বা শ্যাম্পু করার সময় আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যসাজ করুন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দিনে কয়েকবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। ৪) জেল, হেয়ার স্প্রে দিয়ে অনেকক্ষণ নয়ঃ ছেলেরা বেশিরভাগ সময় যে ভুলটি করে থাকে, তা হল চুলে অনেক সময় ধরে জেল হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে। এতে সহজেই চুলে ময়লা ধুলোবালি আটকে যায়। এছাড়া লম্বা সময় ধরে জেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই দিনের বেলা যখন আপনার বাইরে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি তখন জেল ব্যবহার করবেন না। আর যখনই জেল বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করবেন চেষ্টা করবেন দ্রুত বাসায় ফিরে চুল ধুয়ে নিতে। ৫) অন্যান্যঃ প্রচুর পানি পান করতে হবে হবে, চা-কফি, ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। সেলুনে অনেকে চুল কাটার পর জোরে জোরে মাথা ম্যাসেজ করিয়ে নেয়। এতে চুলের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়। এইসব করা যাবে না। আর পাঁচ মিনিটে করা যায় এরকম একটি চুলের ফ্যাশন বা স্টাইল বেছে নিতে হবে। “ছেলেদের চুলের, ত্বকের যত্নের দরকার নেই, এটি শুধুমাত্র মেয়েদের কাজ”- এই ধারণা থেকে বর্তমানে ছেলেরা বের হয়ে আসছে। উজ্জ্বল চুল, উজ্জ্বল ত্বক আপনার সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে তুলবে তেমনি আপনাকে করে তুলবে আত্মবিশ্বাসী। তাই চুলের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ