আল্লাহ এর কসম খেয়ে বলছি এই ধরনের কাজ করবো না যদি করি তাহলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাব। এ ধরনের কসম খাওয়ার পর যদি এই কাজ পুনরায় করি তাহলে কি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবো? এই ধরনের কসম খাওয়ার জন্য আল্লাহ্ এর কাছে ক্ষমা চাইলে কি হবে নাকি কাফফারা করতে হবে?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্রথমে জানতে হবে কসম তিন প্রকারঃ

(১) গামুস : অতীত বা বর্তমান কালের কোনো বিষয় সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কসম খাওয়া। এ ধরনের কসম করা কবিরা গুনাহ। এজাতীয় কসমের কোনো কাফফারা নেই। এর পাপ থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র উপায় আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করা।

(২) মুনআকিদাহ : ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার ব্যাপারে কসম খওয়া। যদি কসম ভঙ্গ করে তাহলে কাফফারা দিতে হবে।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা অর্থহীন কসমের জন্য তোমাদের দায়ী করবেন না। কিন্তু যেসব কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে করো, সেসবের জন্য তিনি তোমাদেরকে দায়ী করবেন। (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৯)।

(৩) লাগব : লাগব বলা হয়, কসমকারী অতীত বা বর্তমানকালের কোনো একটি বিষয়ে নিজের ধারণা অনুযায়ী সত্য মনে করে কসম করে অথচ বিষয়টি বাস্তবে তার ধারণামাফিক নয়, বরং তার বিপরীত। এই ধরনের কসমের ক্ষেত্রে আশা করা যায় যে আল্লাহ তাআলা পাকড়াও করবেন না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৩/১৭)।

আল্লামা হাসক্বাফী (রহঃ) বলেন, কেউ যদি বলে যে, যদি সে ঐ কাজ করে, তাহলে সে ইহুদী বা খৃষ্টান কিংবা কাফিরদের দলভুক্ত হয়ে যাবে, যদি ঐ কাজ মুনআকিদা কসমের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন উক্ত সূরত, তাহলে ঐ কসমের ভঙ্গকারী কাফির হয়ে যাবে। আর কসম যদি গুমুসের অন্তর্ভুক্ত হয়, এবং তার আকিদা বিশ্বাস উক্ত কথা তথা ইহুদী খৃষ্টান হওয়ার খেলাফ থাকে, তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফির হবে না।

তবে এ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সে কাফির হবে না, চায় তার সম্পর্ক অতীতের সাথে হোক বা ভবিষ্যতের সাথে হোক তথা গুমুস হোক বা মুনআকিদা হোক। যদি সে ইহাকে শুধুমাত্র কসম মনে করে এবং তার আঞ্জাম সম্পর্কে বে-খবর থাকে। (আদ্দুরুল মুখতারঃ-৩/৭১৭)।

সুতরাং "আল্লাহ এর কসম খেয়ে বলছি এই ধরনের কাজ করবো না যদি করি তাহলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাব।" এমন কথা দ্বারা কসম করলে কসম হয়ে যাবে। উক্ত কসমকে পূর্ণ করা জরুরী। যদি কেউ এমন কসম করে নেয়, তাহলে সে কাফির হবে না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ