আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু...কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি  জেনেশুনে বড় কুফরিতে লিপ্ত হয় আর পরে সে তওবা করে নেয় তাহলে কি যথেষ্ট হবে???নাকি তাকে আবার পুনরায় কালেমা পড়ে মুসলমান হতে হবে??তার বিবাহ কি পুনরায় পড়াতে হবে?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি জেনেশুনে বড় কুফরিতে লিপ্ত হয় আর পরে সে তাওবা করে নেয় তাহলে তা যথেষ্ট নয়। তাকে আবার পুনরায় কালেমা পড়ে মুসলমান হতে হবে। কিন্তু তার বিবাহ পুনরায় পড়াতে হবে না।

কুফর শব্দের অর্থ হল অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, গোপন করা, ঢেকে রাখা। কুফর হল ইমানের বিপরীত। অর্থাৎ তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, আসমানি কিতাব, ফেরেশতা, আল্লহার হুকুম আহকাম ইত্যাদি অবিশ্বাস করাই হল কুফর বা কুফরি করা। যে ব্যক্তি কুফরি করে তাকে বলা হয় কাফির।

আর কোন ব্যক্তি কুফরি করে কাফির হলে তার পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করতে হলে কিছু শর্ত আছেঃ

আল্লাহ বলেন, তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আল-ফুরকান:৭০)।

আল্লাহ বলেন,যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে বা নিজের নফসের উপর যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে। (আন নিসা:১১০)।

এ আয়াত থেকে জানা যায় যে, বান্দার হকের সাথে কিংবা আল্লাহর হকের সাথে সম্পর্কযুক্ত সব গোনাহই তাওবা ও ইস্তেগফারের দ্বারা মাফ হতে পারে। তবে তাওবা ও ইস্তেগফারের স্বরূপ জানা জরুরী। শুধু মুখে আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি’ বলার নাম তাওবা ও ইস্তেগফার নয়।

তাই আলেমগণ এ বিষয়ে একমত যে, গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তি যদি সে জন্য অনুতপ্ত না হয় এবং তা পরিত্যাগ না করে কিংবা ভবিষ্যতে পরিত্যাগ করতে সংকল্পবদ্ধ না হয়, তবে মুখে মুখে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা তাওবার সাথে উপহাস বৈ কিছু নয়।

তাওবার জন্য মোটামুটি তিনটি বিষয় জরুরীঃ

(এক) অতীত গোনাহর জন্য অনুতপ্ত হওয়া,

(দুই) উপস্থিত গোনাহ অবিলম্বে ত্যাগ করা এবং

(তিন) ভবিষ্যতে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে দৃঢ়সংকল্প হওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ