মেলাতে যাইলে কি কোন গুনহ হতে পারে? আর পহেলা বৈশাখ পালন করলে কি হয়? রেফারেন্স সহ বলবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Manik Raj

Call

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু অপ্রিয় সত্য.......... ১) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখের বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। অথচ এটা সৃষ্টি করেছে মঙ্গলীয় বংশোদ্ভূত বাদশাহ আকবর, যার ভাষা ছিলো ফার্সী। ২) পহেলা বৈশাখ হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়, এর সৃষ্টি মাত্র ৪২৯ বছর আগে। ৩) পহেলা বৈশাখ বা বছরের প্রথম দিন নওরোজ পালন মুসলমান জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম। ৪) পহেলা বৈশাখে হিন্দু, অগ্নি উপাসক, উপজাতি ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন পূজা পার্বন রয়েছে, কিন্তু এদিন মুসলমানদের কোন উৎসব নেই। ৫) রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। এর সূচনারকারী বাংলাদেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। উল্লেখ্য, ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর তার লাশের সামনে কুরআন শরীফের বদলে রবীন্দ্র সংগীত পাঠ করা হয় এবং তার লাশ দাফন না করে হাসপাতালে দেওয়া হয়। ৬) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাসায় ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। ভাবেন, এদিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। নাউযুবিল্লাহ। অথচ ইসলামী আকিদ্বা হচ্ছে ১০ই মুহররম উপলক্ষে ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। ৭) যারা ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বাঙালীর উৎসব বলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, তারা শরীয়ত অনুসারে মুরতাদ হবে। যদি এ মুরতাদ ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ঐ গুনাহ থেকে তওবা না করে, তবে শরীয়ত অনুসারে সে জাহান্নামী হবে। ৮) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। অথচ তারা জানেন না, হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করলে বিয়ে ফাসেদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুনরায় তওবা করে বিয়ে না দোহরালে (এ দোহরানো তালাকের দোহরানোর মত নয়, শুধু স্বাক্ষী রেখে কালেমা পড়তে হয়) স্ত্রী সাথে সম্পর্ক হারাম হয়। এক্ষেত্রে শরীয়ত অনুসারে আগত সন্তান অবৈধ হবে। ৯) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোন বিশেষ সুবিধা, অফার, মূল্যহ্রাস, হলের ডাইনিং এ খাবার গ্রহণ করা যাবে না। গ্রহণ করলে সেও ঐ কুফরী কাজে শরীক হয়ে যাবে। ১০) যারা সাময়িক আনন্দের জন্য, পবিত্র ইসলামের বিধি- নিষেধ ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করে, তাদের মৃ্ত্যুর কথা চিন্তা করা উচিত। মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে এ পহেলা বৈশাখ পালন সম্পর্কে কি জবাব দিবে সেটাও ঐদিনই রেডি করা উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নতুন বছরের সাথে কল্যাণের শুভাগমনের ধারণা আদিযুগের প্রকৃতি-পুজারী মানুষের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণার অবশিষ্টাংশ । ইসলামে এ ধরনের কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। বরং মুসলিমের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তই পরম মূল্যবান হীরকখন্ড, হয় সে এই মুহূর্তকে আল্লাহর আনুগত্যে ব্যয় করে আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয় করবে, নতুবা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে শাস্তির যোগ্য হয়ে উঠবে। কেউ যদি এই ধারণা পোষণ করে যে, নববর্ষের প্রারম্ভের সাথে কল্যাণের কোন সম্পর্ক রয়েছে, তবে সে শিরকে লিপ্ত হল , অর্থাৎ আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করল। “নিশ্চয়ই যে কেউই আল্লাহর অংশীদার স্থির করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন, আর তার বাসস্থান হবে অগ্নি। এবং যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।” (কুর’আন, ৫:৭২) সুতরাং বৈশাখ পালন,মেলায় যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ ইসলামে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ