আরবের রীতি নীতি অনুযায়ী তারা কন্যা সন্তান হলে মেরে ফেলত।কারন ওরা মনে করত যে কন্যা সন্তান হলে ওদের জন্য এটা লজ্জা জনক।সে সুবাদে দাহিয়া কালবী ও তার মেয়েকে জীবিত কবর দিয়েছিল। তার মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ার পর সে কোন জায়গায় সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে রওয়ানা হল।যাবার আগে তার স্ত্রীকে বলে গিয়েছিল যে সে যেন এই মেয়েকে মেরে ফেলে।এই বলে সে চলে গেল।

কিছু দিন পর যখন সে ফিরে আসল,সে দেখল তার মেয়ে এখনো জীবিত রয়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে তার কোন সন্তুষজনক উত্তর পায়নি। তাই সিদ্বান্ত নিল যে সে নিজেই মেয়েকে মেরে ফেলবে।

একদিন তার মেয়েকে বলল তাকে নিয়ে কোন এক জায়গায় বেড়াতে যাবে। মেয়ে খুশি মনে তৈরি হয়ে গেল।

সে নিজের মেয়েকে সাথে করে একটি মরু অঞ্চলে চলে গেল।সাথে মাঠি কুড়ানোর সরঞ্জামাদি নিয়ে নিল।

পথ মাঝে মেয়েকে রেখে মাঠি কুড়াতে লাগল।তার মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে এই সেই বলে তার ধ্যান অন্য মনস্ক করে দেয়। কাজ শেষ হলে সে মেয়েকে কুলে নিয়ে জুর করে গর্তে ফেলে দেয়।মেয়ে এই অবস্থায় কান্নাকাটি শুরু করে আর কাকুতিমিনতি করতে থাকে।

পাষাণ হৃদয়ে তার কোন প্রভাব পড়লনা দাহিয়া কালবীর। মেয়ে চিৎকার করতে করতে বলতে থাকল বাবা!আমি তুমাকে কোন দিন ও আর বাবা বলে ডাকবনা তবুও আমায় মেরোনা! তৎক্ষণাৎ সে মাঠি দিয়ে নিজের মেয়েকে পুতে ফেলল।


এটা ছিল তার ছোট মেয়ে তার আর কোন মেয়ে ছিলনা।

পরে সে মুসলমান হয়েছিল।এবং এই ঘটনা নবীজি কে শুনিয়ে বলেছিল আললাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন? নবীজি বলেছিলেন অবশ্যই ক্ষমা করবেন আললাহ।

এটাই ছিল দাহিয়া কালবীর ঘটনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ