জিওল মাছের রোগগুলির প্রতিকার কী কী?

জিওল মাছ মাগুর, শিঙি জাতীয় মাছ, যাদের হাজা-মাজা পুকুরেও চাষ করা যায় এবং যাদের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র আছে, তাদের জিওল মাছ বলে।

চারিদিকের পাড়ে অনেক গাছপালা আছে এমন ছোট ছোট পুকুরকে জিওল মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা যাবে প্রথমে পুকুরে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। পাড়গুলো ভাঙা থাকলে বাঁধ ফেলা দরকার। গুঁড়িপানা...

জিওল মাছ চাষের উপযুক্ত সময় হল সাধারণত মৌসুমী বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে জিওল মাছ ডিম পাড়ে। এই ডিম থেকে ধানি পোনা হতে সময় লাগে প্রায় আড়াই মাস। সুতরাং শ্রাবণ...

কেবল মাগুর মাছের চাষ করলে কাঠা প্রতি ৫০০টি মাগুর চারাপোনা ছাড়া দরকার। পুকুরে ছাড়ার আগে লিটার প্রতি জলে ১০ ফোঁটা ফরমালিন গুলে সেই জলে মাগুর চারাপোনা প্রায় এক মিনিট ছেড়ে...

জিওল মাছের ভালো উত্পাদন পেতে হলে বাদাম খইলের সঙ্গে শুটকি মাছের গুঁড়ো ও ধানের কুঁড়োর মিশ্রণ করে প্রতি দিন শরীরের ওজনের ২ থেকে ৩ শতাংশ জলে ছড়িয়ে দিতে হবে।

জিওল মাছ চাষে চারা মাছ ছাড়ার পর মাঝে মধ্যে জাল টেনে ধরে দেখা দরকার মাছের কোনও রোগ হয়েছে কি না। রোগ হয়ে থাকলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এক কাঠা পরিমাণ জলায় বছরে এক কাঠা পরিমাণ জলায় বছরে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম মতো মাছ উত্পাদিত হতে পারে।

এক কাঠা পরিমাণ পুকুরে জিওল মাছ চাষ করতে প্রায় ৮০০ টাকার মতো খরচ হয়। আর লাভ হয় প্রায় ১০০০ টাকার কাছাকাছি।

জিওল মাছের চারাপোনা সরকারি হ্যাচারিতে জিওল মাছের চারাপোনা পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ক্যানিং ও বসিরহাটের বাজারেও পাওয়া যেতে পারে।

জিওল মাছের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জিওল মাছ চাষ করলে সাধারণ কোনও রোগ হয় না। তবুও গায়ে ঘা, ঠোঁট লাল ও পাখনা দ্রুত খসে পড়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়।