জিওল মাছের চারাপোনা কোথা থেকে পাওয়া যাবে?

চারিদিকের পাড়ে অনেক গাছপালা আছে এমন ছোট ছোট পুকুরকে জিওল মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা যাবে প্রথমে পুকুরে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। পাড়গুলো ভাঙা থাকলে বাঁধ ফেলা দরকার। গুঁড়িপানা...

জিওল মাছের ভালো উত্পাদন পেতে হলে বাদাম খইলের সঙ্গে শুটকি মাছের গুঁড়ো ও ধানের কুঁড়োর মিশ্রণ করে প্রতি দিন শরীরের ওজনের ২ থেকে ৩ শতাংশ জলে ছড়িয়ে দিতে হবে।

জিওল মাছ ছয় মাস পুকুরে চাষ করার পর বৈশাখ– জ্যৈষ্ঠ মাস নাগাদ মাছ তুলে বেচে দেওয়া দরকার।

এক কাঠা পরিমাণ জলায় বছরে এক কাঠা পরিমাণ জলায় বছরে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম মতো মাছ উত্পাদিত হতে পারে।

এক কাঠা পরিমাণ পুকুরে জিওল মাছ চাষ করতে প্রায় ৮০০ টাকার মতো খরচ হয়। আর লাভ হয় প্রায় ১০০০ টাকার কাছাকাছি।

জিওল মাছের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জিওল মাছ চাষ করলে সাধারণ কোনও রোগ হয় না। তবুও গায়ে ঘা, ঠোঁট লাল ও পাখনা দ্রুত খসে পড়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়।

জিওল মাছের রোগগুলির প্রতিকার হলো প্রতি কেজি খাবারের সঙ্গে ১০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা সালফাডাইজিন ৭ দিন ধরে দেওয়া দরকার।

পুকুরে চারাপোনা ছাড়ার পর প্রতি দিন বিঘা প্রতি প্রথম ৩ মাস ৮০০ গ্রাম করে, তার পরের ৩ মাস প্রতি দিন ১০০০ গ্রাম বা ১ কিলোগ্রাম করে, তার পরের ৩ মাস...

দেশি ও বিদেশি পোনার চারা মাছ কোনও নিকটবর্তী সরকারি হ্যাচারি থেকে পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় বেসরকারি হ্যাচারি থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে।

ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।