শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যারা হাঁটা-চলাফেরার মধ্যে থাকেন, তাঁদের জন্য আলাদা ব্যায়ামের দরকার হয় না। সমস্যা হয় যারা দিনের বেশির ভাগ সময় এক জায়গায় বসে কাজ করেন। তাঁদের প্রতিদিন একটু ব্যায়াম করা অবশ্য প্রয়ােজন। শীতকালে এটা আরও বেশি দরকার। এ বিষয়ে অনেক বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন। তারা দেখিয়েছেন, ব্যায়ামের উপকারিতাগুলাে আমরা কীভাবে পাই। আসুন জেনে নিই দু-একটি জরুরি বিষয়।


খুব বড় ধরনের আয়ােজন না করেও কিন্তু ব্যায়াম করা যায়। যেমন সকাল বা বিকেলে মিনিট পনেরাে জোরে হাঁটলেও ভালাে ব্যায়াম হয়। এর মাঝে যদি তিন-চার মিনিট সামান্য জোরে দৌড়ানাে যায়, তাহলে আরও ভালাে।

যারা সকালে হাঁটতে অভ্যস্ত, তারা একটা বাড়তি সুবিধা পান। শরীরঝরঝরে হয়ে যায়। দিনের শুরুতে কাজের জন্য মনে হবে যেন শরীরের কলকবজা সব ‘রি-স্টার্ট হয়ে গেল। এরপর সারা দিনের কাজের জন্য আপনি প্রস্তুত।নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন প্রাণীর ওপর পরীক্ষায় এটা দেখা গেছে। এখন মানুষের ওপর পরিচালিত পরীক্ষায়ও দেখা গেছে, ব্যায়াম করলে সাধারণ অসুখ-বিসুখ কম হয়। সহজে ঠান্ডা লাগে না, কাশি বা হালকা জ্বরে ভুগতে হয় না। 


বিশেষভাবে শীতকালের এসব উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। কোনাে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে এর প্রতিক্রিয়ায় রােগপ্রতিরােধব্যবস্থা শরীরের বিভিন্ন সেলের (জীবকোষ) মাধ্যমে জীবাণুগুলােকে আক্রমণ করে। কিছু সেল সরাসরি কাজ না করে রােগপ্রতিরােধের উদ্দেশ্যে অন্য রকম ব্যবস্থা নেয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থান একটু লাল হয়ে ফুলে ওঠে (ইনফ্লেমেশন)। এসব দেখে আমরা অনেক সময় ঘাবড়ে যাই, মনে করি রােগের লক্ষণ। কিন্তু অনেক সময় ইনফ্লেমেশন শরীরের রােগপ্রতিরােধব্যবস্থাকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। সমস্যা হয়, যদি ইনফ্লেমেশন বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তখন পেশি-কলার (টিস্যু) ক্ষতি হয়। এ ধরনের ক্ষতি কমাতে ব্যায়ামের দরকার। শরীরের ফ্যাট সেলগুলাে সাধারণত ইনফ্লেমেশনের উপাদান জোগায়। দেহে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের চর্বি কমায় এবং এভাবে রােগপ্রতিরােধব্যবস্থাকে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে সাহায্য করে।


 সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

Source ক :https://www.everydayhealth.com/healthy-living/fitness/easy-winter-exercise-tips-help-you-stay-fit/


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ