আমার বয়স ২২+ আমি একটা কর্মে আছি যেটাতে মোটামুটি দিনকাল যাচ্ছে অবস্য যদি বিয়ে করি স্ত্রীর খরচ চালানো সমস্যা হবে না 

এখন প্রশ্ন হলো এখন কি আমার বিয়ে ফরজ হয়েছে??? 

আবার আমার বয়স যখন ১৫+ তখন ভুল বসত হস্তপমৈথুন করা শিখেছিলাম এবং অনেক বছর প্রায় ৬ বছরের বেশী ধরে এখন যদি বিয়ের পর স্ত্রীর চাহিদা পুরন করতে না পারি তাহলে তো বিয়ে হারাম হবে এখন কি করা উচীৎ বুঝতেছি না 

এখন যদি অন্য মেয়ের সাথে সেক্স করে পরিক্ষা করতে চাই তাহলে কি জিনা হবে?  এখন কি করা উচিৎ??? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। যারা বিয়ে করতে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর : আয়াত ৩২-৩৩)।

এখানে বিয়ের বিধানটি নির্ভর করছে ব্যক্তির ওপর। বিষয়টি আপেক্ষিক। কারো জন্য ফরজ, কারো জন্য সুন্নত। তবে এর আরো বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।

ইসলামে ব্যক্তির স্বাবলম্বী ও সক্ষমতার বিভিন্ন ধরণসাপেক্ষে বিয়েকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

ওয়াজিব বিয়ে: যখন শারীরিক চাহিদা থাকে এবং এই পরিমাণ সামর্থ্য থাকে যে তার এবং স্ত্রীর প্রতিদিনের খরচ বহন করতে পারবে, তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে।

ফরজ বিয়ে: যদি সামর্থ্য থাকার সাথে সাথে চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যাভিচার বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ।

সুন্নত বিয়ে: যদি শারীরিক চাহিদা প্রবল না থাকে, কিন্তু স্ত্রীর অধিকার আদায়ের সামর্থ্য রাখে তখন বিয়ে করা সুন্নত। এ অবস্থায় খারাপ কাজের প্রতি ঝোঁকার আশঙ্কা না থাকলে বিয়ে না করলে কোনো অসুবিধা নেই।

নিষিদ্ধ বিয়ে: যদি কারো আশঙ্কা হয় সে স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে পারবে না। চাই তা দৈহিক হোক বা আর্থিক। তার জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ।

সামর্থ্য না থাকলে রোজা রাখা: অনেকের বিয়ের ইচ্ছে আছে, সক্ষম পুরুষও কিন্তু স্ত্রীকে ভরণ পোষণ দেয়ার ক্ষমতা নেই। এ অবস্থায় বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে। কারণ রোজা দৈহিক কাম উত্তেজনা দূর করে দেয়।

এ সময় সক্ষমতা অর্জনের জন্য বেশি বেশি কাজ ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

আল্লাহ তায়আলা তাদের বর্ণনা দিচ্ছেন যাদের বিবাহ করার সার্মথ্য নেই। তারা যেন সামর্থ্যবান হওয়া পর্যন্ত নিজেকে পবিত্র রাখে, কোন অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয়ে নিজেকে কলুষিত না করে। সামর্থ্য দুই ধরনের একটি হল আর্থিক, অন্যটি হল দৈহিক।

এখানে মূলত আর্থিক সামর্থ্যরে কথা বলা হয়েছে। যেমন হাদীসে এসছে: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: হে যুবকের দলেরা! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহ করতে সক্ষম সে যেন বিবাহ করে, কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে অবনত রাখে, লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখবে না সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা এটি তার যৌনশক্তিকে দমন করবে। (সহীহ বুখারী হা: ১৯০৫, সহীহ মুসলিম হা: ১৪০০)।

সুতরাং যাদের বিবাহ করার সামর্থ্য নেই তাদের উচিত বেশি বেশি নফল রোযা রাখা।

‘তারা অভাবগ্রস্ত‎ হলে আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন’ এখানে আল্লাহ তায়ালা স্বাধীন ও পরাধীন সকল দরিদ্র দম্পতিকে প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন যে, তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে অভাব মোচন করে দেবেন।

❖► যেহেতু কর্মে আছেন যেটাতে মোটামুটি দিনকাল যাচ্ছে তাই বিয়ে করে নেন কোন সমস্যা হবে না।

❖► হস্তপমৈথুন করলে বিয়ের পর স্ত্রীর চাহিদা পুরন করতে পারবেন না এটা ভুল কথা। আগে নিজের মনবল শক্ত করেন।

❖►এখন যদি অন্য মেয়ের সাথে সেক্স করে পরিক্ষা করতে চান তাহলে জিনা হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RobiulTamma

Call

ভুলেও যিনা করবেন না।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং বাজে অভ্যাস বাদ দিন।ইসলামিক আলোচোনা শুনুন এবং বই পড়ুন।

ডা.শামসুল আরেফিন স্যারের কুররাতু আইয়ুন-১ এবং কুররাতু আইয়ুন-২ বই দুইটি পড়তে পারেন।আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে এই মুহূর্তে ইনশাআল্লাহ্। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

ভুলেও যিনা করবেন না। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করুন।

হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকুন, প্রতিদিন গরুর দুধ ও মধু খান। প্রয়োজনে হারবাল চিকিৎসা নিন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Atik453

Call

বিয়ের তীব্র প্রয়োজনীয়তা থাকলে ফরজ।আর সাধাররন অবস্থায় সুন্নত।অক্ষম হলে হারাম।সামর্থ থাকা সত্তেও বিয়ে না করা সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ।সামর্থ মানে আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা।বিয়ে ও অধিকারভুক্ত দাসী ( এটার বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে) ছাড়া অন্যভাবে যৌনতা পূরন করা কবিরা গুনাহ।হস্তমৈথুনও তাই কবিরা গুনাহের পর্যায়ভুক্ত।আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন।।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ