নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া মুখের বা জিহ্বার যিনা হচ্ছে কামভাবে কথা বলা।
যেহেতু আপনারা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলেন না তাই মেসেঞ্জারে কথা বললে যেনার পর্যায়ে পড়বে না।
তবে ফেইসবুকে প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের বন্ধু বানানো, তাদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়। তবে দ্বীনী কোন বিষয় থাকলে বলতে পারেন। তবে তাও কম কথায় শেষ করে নিবেন অযথা কথা বলা হারাম।
দ্বীন কিংবা দুনিয়ার যে কোনো প্রয়োজনীয় কোনো বিষয়ে যদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে হয় তবে যত কম কথা তা শেষ করা যায় ততই নিরাপদ ও উত্তম।
কেননা ছেলে মেয়েদের মধ্যে বন্ধুত্ব ইসলাম একেবারেই নিষেধ করে দিয়েছে। যেখানে একজন পুরষের জন্য ১৪ জন্য নারী ব্যাতিত সব নারী এবং একজন নারীর জন্য ১৪ জন পুরুষ ব্যতিত সব পুরুষের সাথে সাথে দেখা-সাক্ষাত হারাম করেছেন সেখানে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করা একেবারেই অসম্ভব। কারন, বন্ধুত্ব নামক সম্পর্ক থেকে আস্তে আস্তে সেটি বেহায়াপনার সম্পর্কে গিয়ে পৌছায়। এমনকি ব্যভিচারও হয়ে থাকে।
সুরা আহযাবের ৩৩ নাম্বার আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, ফেইসবুকে প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের বন্ধু বানানো, তাদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।
যদি তোমরা আল্লহকে ভয় কর তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে। স্ত্রীলোকদের পরপুরুষের সাথে কোমল সুরে ও লোভনীয় ভঙ্গিতে কথা বলা নিষিদ্ধ।
সুতরাং নারীরা প্রয়োজন ছাড়া অপরিচিত কোনো পুরুষকে বন্ধু বানানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি অপরিচিত পুরুষদের জন্যও অপরিচিত মেয়েকে বন্ধু বানানো ঠিক নয়। যদি বন্ধু হয়েও থাকে তবে আপত্তিকর, অসামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক।