ঘুমের ভিতর যখন হস্তমৈথুন করি তখন আমার মনে হয় অন্য কেউ হস্তমৈথুন করে ।হস্তমৈথুন করার কোন ইচ্ছা নাই আমার । ঘুমের ভিতরে অনিচ্ছায় হস্তমৈথুন করি ফেলি ।আমার কোন মতে ই হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছা নাই।
বিষয়টি লজ্জার নয়, বিষয়টি আতংকের বিষয়টি খুব চিন্তা ভাবনার বিষয়!
সমাজে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না, পরিবার ও কোন খুঁজ খবর রাখছে না। বিপদের মাত্রা দিন দিন শুধু বাড়চ্ছে , আমাদের যুবসমাজের ঈমান, আমাল, চরিত্র নষ্ট হচ্ছে, হচ্ছে সমাজিক অবক্ষয় । এক প্রকার মহামারিতে ধারণ করেছে ভয়াবহ পর্নোগ্রাফি।
কিছু জরিপ দেখলে শিহরিত হয়ে উঠবেন। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকা প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা যায় ঢাকা শহরে ইংলিশ মিডিয়া স্কুলে পড়ুয়া শতকরা ৭৫ জন ছাত্র নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখে। তার মানে প্রতি ৪জন কিশোরের মধ্যে ৩ জন এই ভয়াবহ নেশায় আসক্ত অথবা ঝুঁকিতে রয়েছে।
ডা: সাঈদুল আশরাফ কুশল, "বলেন আমাদের চেম্বারে মানসিক স্বাস্থ্যের পরামর্শ নিতে আসা কিছু তরুণ বলে- জীবনে তেমন কোনো কষ্ট বা ঝামেলা নেই তবু ও এত হতাশ লাগে কেন বুঝতে পারছি না। এদের অনেকই পর্নোগ্রাফি আসক্তির কারণে বিষণ্নতা নামক রোগে ভুগছে।"
এ মহামারিতে কত মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পরিবার ভেঙে যাচ্ছে এ সম্পর্কে আমরা জানি না বললেই চলে।
একটা পরিসংখ্যানর তথ্য প্রদান করি। আমেরিকায় ৫৬ শতাংশ ডিভোর্স - এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বামী বা স্ত্রী যে কোনো একজন অত্যধিক মাত্রায় পর্নে আসক্ত।
এটাত আমরেকির কথা আমাদের বাংলাদের একটি গবেষণায় অষ্টম শ্রেণির কিছু ছাত্র ছাত্রীর উপর জরিপ চালানো হয়, শতকরা ৭৬ জন্য শিক্ষার্থীর নিজের ফোন আছে। বাকিরা বাবা মার ফোন ব্যবহার করে। এদের মধ্যে ৮২ শতাংশ সুযোগ পেলে মোবাইলে পর্ন দেখে।তাহলে কলেজ এবং ভার্সিটির মধ্যে জরিপ চালালে কি অবস্থা বুঝতে পারছেন।
ভয়াবহ পর্নোগ্রাফি এবং মাস্টারবেশন:নীলহোহিত থেকে বাঁচতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
(আন নূর - ৩০)
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
অন্য এক আয়াতে বলতেছেন
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَىٰ ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
(বনী-ইসরাঈল - ৩২)
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।
হতাশ হওয়া যাবে না আল্লাহ তায়ালাত দয়ালু মেহেরবান ক্ষমাকারী
আল্লাহ তায়ালা বলতেছেন:
۞ قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
(আয্-যুমার - ৫৩)
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
অন্য এক আয়াতে বলতেছেন :
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
(আল ফুরকান - ৭০)
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তাই তাওবা করুন জীবন কে সফল করেন।
এছাড়া জান্নাতের উত্তরাধিকার হতে হলে সমস্ত পাপাচার বিশেষ করে এই ভয়াবহ পর্নোগ্রাফি এবং হস্তমৈথুন বেঁচে থাকতে হবে।
প্রতিদিন কিছু নিয়মকানুন মেনে চলুন
#তাকওয়াপূর্ণ জীবন চালানোর চেষ্টা করা
তাকওয়া কি এর ব্যখা অনেক আছে।
সংক্ষিপ্ত যদি বলি আল্লাহর সমস্ত আদেশ নিষেধ
মেনে চলার নাম ও তাকওয়া।
#আজকের দিনটা ভালো ভাবে উপভোগ করুন
# প্রতিদিন কোন এক সময় আত্মাসমালচনা করুন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।
# পূর্বের নেককারদের ইতিহাস পড়ুন।
# দৈনিক কাজে রুটিন করুন
#বিনা প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
# নজরে হেফাজত করতে হবে কারণ নজর হচ্ছে
শয়তানের তীর সমুহের মধ্য হইতে একটি তীর
শয়তান নজর থেকে শুরু করে এবং গুনাহের সর্বশেষ পর্যায়ে নিয়ে যায়।