আমার মাসিক হয়েছে।আমি কি কদরের রাত্রে নামাজ বাদে সকল প্রকার ইবাদত করতে পারি? আর যদি পারি তাহলে সেগুলো কি কি ইবাদত আমাকে জানালে খুব উপকৃত হতাম।
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি শুধু নামায, রোজা, বায়তুল্লাহ তওয়াফ ও মসজিদে ইতিকাফ ব্যতীত বাকী সমস্ত ইবাদত করতে পারেন।
ইহইয়াউল লাইল বা রাত জাগা শুধু নামাযের জন্য বিশিষ্ট নয়, বরং তা সকল ইবাদতের মাধ্যমে হতে পারে। আলেমগণإِحْيَاء الليل কথাটিকে এই অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন।
যেহেতু যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তার জন্য নামায আদায় করা নিষিদ্ধ তাই তিনি নামায ব্যতীত অন্য সব ইবাদত করার জন্য রাত জাগতে পারেন।যেমন:
১। কুরআন তেলাওয়াত করা..
২। যিকির করা। যেমন: সুবহানাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল হামদু লিল্লাহ ইত্যাদি জপা। সুতরাং যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি বেশী বেশী সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল আযিম ই্ত্যাদি জপতে পারেন।
৩।ইস্তিগফার করা: তিনি বেশি বেশি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’(আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) পাঠ করতে পারেন।
৪। দোয়া করা: তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি করে দোয়া করতে পারেন এবং তাঁর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করতে পারেন। দোয়া হল সর্বোত্তম ইবাদতগুলোর অন্যতম। এটা এতবেশী গুরুত্বপূর্ণ যে,নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন: “দোয়া ইহল-ইবাদত।”[জামে তিরমিযী (২৮৯৫),আলবানী‘সহীহআত-তিরমিযী’গ্রন্থে হাদিসটিকেসহীহবলেউল্লেখকরেছেন (২৩৭০)]
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি লাইলাতুল ক্দরে উল্লেখিত ইবাদতগুলোসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করতে পারেন।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যা পছন্দ করেন ও যাতে সন্তুষ্ট হন আমাদেরকে যেন তা পালন করার তাওফিক দেন এবং আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করে নেন।