Call

 

সাওম এর পর্যায়ক্রমে যে তিনটি পরিবর্তন হয়েছেঃ

(১) যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় আগমন করেন তখন তিনি প্রতি মাসে তিনটি সাওম রাখতেন এবং আশূরার সাওম রাখতেন। অতঃপর মহান আল্লাহ (কুতিবা আলাইকুমুস সিয়াম) অবতীর্ণ করে রামাযানের সাওম ফরয করেন।

(২) প্রথমতঃ এই নিদেশ ছিলো যে চাইবে সাওম রাখবে এবং যে চাইবে সাওম এর পরিবর্তে মিসকীনকে ভোজ্য দান করবো।

অতঃপর “ফামান সাহিদা মিনকুমুস সাহরা ফালইয়াছুমহু” এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। অর্থাৎ তোমাদের মধ্যকার যে ব্যক্তি ঐ মাসে নিজ আবাসে উপস্থিত থাকে সে যেন তাতে সাওম পালন করে। সুতরাং যে ব্যক্তি বাড়িতে অবস্থানকারী হয় এবং মুসাফির না হয়, সুস্থ হয় রুগ্ন না হয়,তার ওপর সাওম বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। তবে রুগ্ন ও মুসাফিরের জন্য অবকাশ থাকে। আর এমন বৃদ্ধের জন্যও অবকাশ থাকে যে সাওম রাখার ক্ষমতাই রাখে না সে ফিদইয়াহ দেয়ার অনুমতি লাভ করে।

(৩) পূর্বে রাতে নিদ্রা যাওয়ার আগে আগে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস বৈধ ছিলো বটে, কিন্তু ঘুমিয়ে যাবার পর রাত্রির মধ্যেই জেগে উঠলেও পানাহার ও সহবাস তার জন্য নিষিদ্ধ ছিলো। অতঃপর একবার সুরমাহ নামক একজন আনসারী (রাঃ) সারাদিন কাজ কর্ম করে ক্লান্ত অবস্থায় রাতে বাড়ি ফিরে আসেন এবং ঈশার সালাত আদায় করেই তার ঘুম চলে আসে ফলে তিনি ঘুমিয়ে যান। পরদিন কিছু পানাহার ছাড়াই তিনি সাওম রাখেন। কিন্তু তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ ব্যাপার কি?

তখন তিনি সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করেন। এদিকে তার ব্যাপারে তো এই ঘটনা ঘটে আর ওদিকে উমার (রাঃ) ঘুমিয়ে যাওয়ার পর জেগে উঠে স্ত্রী সহবাস করে বসেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমন করে অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে এই দোষ স্বীকার করেন। ফলেঃ

সূরা বাকারার ১৮৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে।

আয়াতাংশ বিশেষ অবতীর্ণ হয় এবং মাগরিব থেকে নিয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত রামাযানের রাতে পানাহার ও স্ত্রী সহবাসের অনুমতি দেয়া হয়।

(মুসনাদে আহমাদ ৫/২৪৬, ২৪৭, সুনান আবূ দাউদ ১/১৩৮/৫০৬, ৫০৭, সহীহ ইবনে খুযায়মাহ ১/১৯৮-২০০/ ৩৮২-৩৮৪)।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ