তত্ত্বজ্ঞান লাভের জন্য যারা ভগবানের ভ$ হয়েছেন তাদের গতি কি?

যারা কবিতা লেখেন তাদেরকে কবি বলা হয়।

তত্ত্বজ্ঞান লাভ করতে হলে তাকে এক তত্ত্বদষ্টা সদ্গুরুর শরণাপন্ন হতে হবে। এবং এই প্রকার তদ্রষ্টা শুরুদেবকে বিনম্রচিত্তে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং অকৃত্রিম সেবায় তাকে সন্তুষ্ট করে-তাঁর কাছ থেকে তত্ত্বজ্ঞান...

উঃ শাস্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি চিন্ময়, তত্ত্বজ্ঞান লাভ করেন। সেই দিব্যজ্ঞান লাভ করে তিনি অচিরেই পরাশান্তি প্রাপ্ত হন। কিন্তু শাস্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাহীন ব্যক্তি সংশয়হেতু ভগবদ্ভক্তি লাভ করতে না পেরে...

এইরূপ রাসী ও আসুরিক মনােভাবাপন্ন ব্যক্তিদের মুক্তিলাভের আশা, তাদের সকাম কর্ম এবং জ্ঞানলাভের প্রয়াস সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।

উঃ তারা বিপুল ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ স্বর্গলােক উপভােগ করে পুণ্যময় হলে আবার মর্ত্যলােকে ফিরে আসে।

উঃ যারা ভগবানে সমস্ত চিত্ত প্রাণ সমর্পণ করেছেন - সেইরূপ ভগবদ্ভক্তরা। পরস্পরের মধ্যে ভগবানের কথা আলোচনা করে এবং ভগবান সম্বন্ধে পরস্পরকে বুঝিয়ে পরম সন্তোষ ও অপ্রাকৃত আনন্দলাভ করেন।...

যারা ভগবানের সবিশেষ রূপে মনকে নিবিষ্ট করে অপ্রাকৃত ভক্তিসহকারে নিরন্তর ভগবানের উপাসনা করেন তারাই শ্রেষ্ঠ যােগী।

নিরাকার স্বরূপকে উপাসনা করে যাদের মন ভগবানের এই প্রকার অব্যক্ত নির্বিশেষ রূপের প্রতি আসক্ত তাদের পক্ষে পারমার্থিক উন্নতি করা অত্যন্ত কষ্টকর। কারণ দেহধারী মানুষের পক্ষে অব্যক্ত উপাসনা করা খুবই...

ভগবানের জন্য প্রত্যক্ষভাবে সেবা করতে না পারলে সংযত চিত্তে কর্ম করে তার ফল ভগবানকে অর্পণ করে কর্মফল ত্যাগ করতে হবে। তাতে তার সুফল লাভ হবে।

যারা কর্মল ত্যাগ করেন তাদের অনিষ্ট, ইষ্ট ও মিশ্র এই তিন প্রকারের কর্মফল ভােগ করতে হয়।