শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

লাভার জ্বীন সমস্যার সমাধানঃ

১। প্রতিনিয়ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করা, সাওয়াবের কাজ করা, রোজা রাখা, আল্লাহর জিকিরে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এবং কথা বলার সময়ে জিহ্বাকে সংযত রাখা, প্রতিনিয়ত আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করা।

২। কদিন পরপরই সরাসরি রুকইয়াহ করানো। আর অভিজ্ঞ রাকীর নির্দেশনায় নিজে নিজে প্রতিদিন সেলফ রুকইয়াহ করা। নিয়মিত রুকইয়াতে দৃঢ় থাকা। রুকইয়ার আয়াত পড়া কালোজিরা তেল, অলিভ অয়েল, মধু, পানি ব্যবহার করা। ডিটক্স করা।

৩। রুকইয়াহ গোসল করা এবং রুকইয়াহ শোনা। এক্ষেত্রে সিহরের অডিও, আয়াতুল হারকের অডিও, রুকইয়া যিনার অডিও শোনা যেতে পারে। আর জিন সিরিজে আলোচিত রুকইয়াহ পরবর্তী নির্দেশনাগুলো খেয়াল রাখা।

৪। সুরা বাকারা, নূর, ইউসুফ তিলাওয়াত করা। তিলাওয়াত করতে না পারলে অডিও শোনা।

৫। সম্ভব হলে জীনের দূর্বলতা এবং তার অপছন্দের কাজগুলো খুঁজে বের করা এবং অপছন্দের কাজগুলো করা (শরিয়াহ বাধা না দিলে)।

৬। বাসা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং রুকইয়াহর আয়াত পড়া পানি পুরো বাসায় ছিটিয়ে দেয়া বা স্প্রে করা। বাসায় নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা, কোরআন তিলাওয়াতের অডিও প্লে করা। হারাম কোনকিছু বাসায় যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল করা। যেমন- যেকোন মূর্তি, ঝুলানো ছবি, বাসায় কুকুর রাখা, গান বাজনা হওয়া এবং টিভিতে অশ্লীল অনুষ্ঠান দেখা।

৭। কিছু নির্দিষ্ট সময় পরপর হিজামা করা। জমজমের পানি ও খেজুর খাওয়া।

৮। বিবাহিতদের জন্য ট্রিটমেন্টের মূল বিষয় হল স্বামী/স্ত্রীর ভূমিকা। একে অন্যের প্রতি রাগান্বিত না হওয়া, বেশি বেশি ভালোবাসা এবং একে অন্যকে কেয়ার করা, আনন্দে রাখার চেষ্টা করা। সর্বোপরি বাসায় ভালোবাসাময় একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং পরষ্পরের দূরত্ব যথাসম্ভব কমিয়ে আনা।

৯। পরিবারের বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া, স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে সময় বৃদ্ধির চেষ্টা করা এবং সেসময় পুর্ণ মনযোগ দেয়া, ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছানো ইত্যাদি। এসব আচরণ শয়তান জিনরা অপছন্দ করে।

১০। শরীরের কোথায় জিন আছে সেটা খুঁজে বের করে রুকইয়ার আয়াত পড়ে সেখানে ফুঁ দেয়া যায়, পড়ার পরে সেখানে হালকাভাবে থুথু ছিটিয়ে দেয়া। রুকইয়ার তেল, পানি ইত্যাদিও আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা যায়।

১১। যতই ভয় দেখাক, ঝামেলা করুক, বিভিন্ন কথাবার্তা বলে একজনের প্রতি আরেকজনকে বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করুক, জিনকে কোন প্রকার পাত্তা না দেয়া। এসব জিনরা চায় আমরা তাদের গুরুত্ব দেই। তারা নিজেদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে ভালোবাসে, এজন্য বিভিন্ন মিথ্যা কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করে।

১২। হতাশ না হওয়া। একা একা না থেকে সবসময়ই কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকা। পারতপক্ষে একা না ঘুমানো।

১৩। কারো দিকে বেশি প্রশংসার দৃষ্টিতে না তাকানো। আয়না দেখার সময়ে অবশ্যই দোয়া পড়া। কাপড় বদলানোর আগে বিসমিল্লাহ বলা।

১৪। বেশি বেশি আয়না দেখার অভ্যাস থাকলে রুকইয়ার পানি আয়নাতে ছিটিয়ে দেয়া উচিত এবং আয়না সবসময় ঢেকে রাখা উচিত।

১৫। সবচেয়ে জরুরী বিষয়! দোয়া করা। দোয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। দিনের অধিকাংশ সময়ে দোয়া করা। দোয়ার জন্য আলাদা সময় বের করে নেয়া। দুই হাত তুলে রবের নিকট দোয়া করা, যেন আল্লাহ এই সমস্যা পুরোপুরি ভালো করে দেন এবং তাদেরকে যেন আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দেন।

ধন্যবাদ।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ