উপসংহারের জন্য একটা কবিতা চাই।
দিলে খুবই উপকৃত হব।।।
এইমাত্র যে দৃশ্যমান
পর মুহূর্তে সে নেই!
একটি মাছরাঙা
ঠোঁটে তুলে নিচ্ছে
বর্ণিল একটি মাছ—
জলের মাছও একদিন
আকাশে ওড়ে!
সময় কাউকে তৈরি করে
হাতে তুলে দিয়ে কালের কলম
আবার কারও হাতে
তুলে দেয়
দু-ধারী ধারালো ছুরি,
কাউকে বানায় নেতা,
কেউ ক্রীতদাস,
কেউবা গুপ্তচরের প্রতিনিধি।
বিদ্যাপীঠগুলোতে
দেওয়া হলো আগুন দিনদুপুরে
ঝলমলে মাছভর্তি পুকুরে
ঢেলে দেওয়া হলো প্রাণনাশক ডিডিটি
আর
বোধিবৃক্ষের শিকড়ে চুন!
আ ম রা—একে অপরকে
ঘৃণা করাকেই ভাবলাম
শক্তির প্রকৃত পরিচয়!
এইমাত্র যে আছি
পরমুহূর্তে সে নেই
যে আমি অতীতে ছিলাম
আগামীর কোনো এক প্রত্যুষে
তার হাতেও কোদাল দিয়ে
বলা হলো,
খোঁড়ো, কবর খোঁড়ো
তুমি নিজ হাতে
সাড়ে তিন হাত নিচে
নামিয়ে দাও
তোমারই নির্মাণের ইতিহাস।
দেবালয় পুড়ছে, পুড়ছে...
চক্ষুষ্মান একটি প্রজন্ম
কার পাপে অন্ধ হলো?
দিনের প্রখর আলোয়ও
নিজেকে সে দেখছে না!
বধ্যভূমির ঘাসে ঘাসে
কারাগারের দেয়ালে দেয়ালে
জয় বাংলা প্রতিধ্বনি...
যশোর রোড ধরে হেঁটে চলা ক্লান্ত পা
সল্টলেকের বৃত্তাকার পাইপের গহ্বরে
শূন্যদৃষ্টি জননীর চোখ
মুজিবনগর থেকে ট্রাফেলগার স্কয়ার
আগরতলা থেকে আর্জেন্টিনা
মুছে যাচ্ছে সীমান্তের সকল সীমানা
হে পিতা
শত ঝঞ্ঝা, ঝড় ও তুফানে
কবির কলম
আর
শিল্পীর তুলি
তবু জেগে থাকে অভিমানে ।