বই: 'মানবী'

লেখক: হুমায়ুন আহমেদ। 

ধরণ: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। 

____________________________________ 

রিভিউ: ৪০০৯ সালের একটি দম্পতিকে কেন্দ্র করে এই কল্পকাহিনী আবর্তিত হয়েছে।তখনকার বিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এতই উন্নত হয়েছে যে বিশ্বের কর্তৃত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে চলে গিয়েছে।মানুষ হয়েছে যন্ত্রের অধীন। গল্পের নায়ক কুন এবং নায়িকা নিনিতা।তাদের মধ্যে এই গল্প জুড়ে ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব, অভিমান এসব ফুঠে ওঠেছে

        তখন বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যাওয়াতে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে ভেদ করে যাচ্ছিল।তাই, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচতে তাদেরকে চারিদিক আবদ্ধ বিশেষ-বিশেষ আলাদা সেলে বাস করতে হয়।কম্পিউটার সিডিসি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটিয়ে একেকটি সেলকে মানবশূন্য করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছিল।নিনিতা ও তার স্বামী কুন এমন চরমলগ্নের সম্মুখীন হয়েছিল। 

        মানুষকে অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করা হয় না বরং পূনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে 'এতকিন নভেলা রড' দিলে তার স্মৃতি বিনষ্ট করে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর স্মৃতি জুড়ে দেওয়া হয়।এতে, তার স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুই নতুন করে শিখতে শিখতে হয়।এসবকিছুর নিয়ন্ত্রক সিডিসি বা সেন্ট্রার কম্পিউটার।

        ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ করার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় 'আয়না মানব'দের সহায়তায় 'আয়না' বিদ্রোহ হিসেবে সিডিসিকে জব্দ করা হয়।এবং আয়না মানবরা সিদ্ধান্ত নেয় সিডিসি'কে ধ্বংস করতে। তবে, সিডিসি'কে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া আরম্ভ হওয়ার পর সিডিসি জানায় তার উদ্দেশ্য ইতিবাচক ছিল।সে ভাইরাসের প্রতিষেধক এন্টিসিরাম আবিষ্কাররের চেষ্টায় ছিল।যার উৎপত্তি নিনিতা'কে দিয়ে এবং ট্রায়াল মহান কণ্ঠশিল্পী আহানকে দিয়ে করতে চেয়েছে।এবং মানুষকে সেলে আবদ্ধ এজন্যই রাখা হয়েছে যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হয়।

      সিডিসি'কে তার শেষ উপদেশ জানাতে বললে এটি বলে, যেন মানুষকে মুক্ত-স্বাধীন করা হয়। সিডিসি'র ধ্বংসের  পূর্বমুহূর্তে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে এই কল্পকাহিনীর সমাপ্তি ঘটে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে