বিভিন্ন কারণে চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এগুলি হল:
১। উচ্চরাজস্ব: কোম্পানি উচ্চহারে রাজস্ব ধার্য করলে এবং তা আদায় করলে জমিদার ও চুয়াড় কৃষকরা চরম সংকটের সম্মুখীন হয়।
২। সূর্যাস্ত আইন: গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলায় এক নতুন ধরণের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন। যা 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' নামে পরিচিত। এই বন্দোবস্তের অন্যতম ধারা 'সূর্যাস্ত আইন' দ্বারা বহু জমিদারের জমিদারি গ্রাস করা হলে তাদের কর্মচারীরাও নিষ্কর জমির ভোগদখল হারায়।
৩। বেকারত্ব বৃদ্ধি: জমিদারের জমিদারি গ্রাস করা হলে তাঁদের অধীনে চুয়াড়ও তাদের পাইকের কাজ হারায়।
৪। রাজস্ব আদায় ও অত্যাচার: সূর্যাস্ত আইনে একদিকে বহু জমিদার জমিদারি হারায় অন্যদিকে কোম্পানির নতুন নতুন জমিদার তৈরি হয়। রাজস্ব আদায়ের নামে এদের অত্যাচার চুয়াড়দের বিদ্রোহী করে তোলে।
এসবকেই চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ বলে মনে করা হয়।