শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না, গান গাইলে বা বললে উজু নষ্ট হয় না। নিম্নে ‍উজুর ভঙ্গের কারণসমূহ দেওয়া হল।-

মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

১. পায়খানা পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া । যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি।- সূরা মায়িদা, , সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী; হা. নং ৫৬৮, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী; হা. নং ৫৬৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক; হা. নং ৫২৭

২. রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। -হেদায়া ১/১০

৩. মুখ ভরে বমি করা।

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। -সুনানে ইবনে মাজাহ; হা.নং ১২২১, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা; হা. নং ৪৩৩

৪. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।

হাসান বসরী রহঃ বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার উপর অযু করা আবশ্যক হয় না। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা; হা. নং ১৩৩০, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা; হা. নং ১৩৩২, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হা. নং ৫৬০]

৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সেজদা অবস্থায় ঘুমালে অযু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। -মুসনাদে আহমাদ; হা. নং ২৩১৫, সুনানে আবু দাউদ; হা. নং ২০২

৬. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।

হযরত হাম্মাদ রহঃ বলেন, যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্য হয়, তখন নামাযের জন্য তার অযু করতে হবে। -মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক; হা. নং ৪৯৩

৬. নামাযে উচ্চস্বরে হাসি দিলে।

হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাযে উচ্চস্বরে হাসে, সে ব্যক্তি অযু ও নামায পুনরায় আদায় করবে। হযরত হাসান বিন কুতাইবা রহঃ বলেন, যখন কোন ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসি দেয়, সে ব্যক্তি অযু ও নামায পুনরায় আদায় করবে। -সুনানে দারা কুতনী; হা. নং ৬১২,৬০৪


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ