নিশ্চয়ই নামাজ সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে আল্লাহর বান্দাকে দূরে রাখে। যখন বান্দা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, তখন আল্লাহ তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তখন তার দ্বারা কোনো খারাপ কাজ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যখন সে নামাজ-রোজা ছেড়ে দেয় তথা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তখন শয়তান তাকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে দেয় তথা তার দ্বারা খারাপ কাজ করানো শুরু করে দেয়। নিষিদ্ধ বা অবৈধ কাজের প্রতি মানুষের কৌতুহল বেশি থাকে। যখন যুবসমাজ আল্লাহর পথ ছেড়ে শয়তানের পথে চলা শুরু করে দেয়, তখন শয়তান তাদের দ্বারা খারাপ কাজ করায়। পাশ্চাত্য সমাজ থেকে আমাদের সমাজে হস্তমৈথুন, ফিঙ্গারিং, পরকীয়া, যিনা, সমকামীতা, বেপর্দা, অবৈধ প্রেম, বাজে মুভি, পর্ণোগ্রাফি, পারিবারিক চটি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট গ্রহণ, বিয়ের আগে-পরে বাচ্চা নষ্ট করা, বাচ্চাকে ফিটার দুধ খাইয়ে স্বামীকে বুকের দুধ খাওয়ানো, পায়ুমৈথুন, মুখমৈথুন ইত্যাদি বাজে জিনিসের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যা যুবসমাজসহ প্রত্যেক মানুষের ঈমান-আমল নষ্ট করে দিচ্ছে। ফলে খারাপ কাজ ও খারাপ মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানবসমাজকে কুরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরতে হবে। ইসলামিক কাজ (ভালো কাজ তথা সওয়াবের কাজ) করতে হবে এবং অনৈসলামিক কাজ (মন্দ বা খারাপ কাজ তথা গুনাহের কাজ) থেকে দূরে থাকতে হবে। সমাজ ও দেশে কুরআনের আইন ও শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে করে সমাজ ও দেশের মাটি ও মানুষ পবিত্র ও ভালো থাকতে পারে। ধন্যবাদ।