Ronu

Call

মুখ ফর্সা করতে নিচের কাজ গুলো করলে পারেন। টমেটো টমেটো আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে এবংং ত্বকের দাগ দূর করে। ব্যবহারবিধি আপনি সপ্তাহে ২ বার টমেটো রস সমপরিমান পানি মিশিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে আপনি খুব দ্রুত উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা পাতার জেলে রয়েছে প্রদাহ-বিরধী উপাদান সমূহ ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ। যা অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ক্ষত ও দাগ সারানোর জন্য এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান করে তোলে। ব্যবহারবিধি অ্যালোভেরার পাতা মাঝ বরাবর কেটে ভেতরের জেল চামচের সাহায্যে ছেঁচে নিতে হবে। এরপর সেই জেল সরাসরি মুখের ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ৩০ মিনিট সময়ের জন্য মুখে অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে হবে, এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন দুইবার এই পদ্ধতিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে। লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে লেবু সবচাইতে ভালো একটি উপাদান। ত্বকের যেকোন ধরণের দাগকে হালকা করে ফেলার ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে লেবু। একই সাথে ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে, ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে ত্বকের স্থানে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খুব আলতোভাবে মুখ মুছে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে লেবু ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান সমূহ ত্বকের পিগমেন্টেশনকে হালকা করতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে, ফলে ত্বকে তৈরি হওয়া দাগ কমাতে এবং ত্বক ফর্সা এই ভিনেগার চমৎকার কার্যকরি। একই সাথে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ত্বকের মরা চামড়া দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি সমপরিমাণ আনফিল্টার্ড অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট সময়ে জন্য রেখে দিয়ে পানি দিয়ে মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন একবার এই নিয়মে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। বেকিং সোডা ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে বেকিং সোডা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। এটি এক্সফলিয়েন্ট উপাদান হিসেবেও ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারবিধি একটি বাটিতে দুই চা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এই পেষ্ট সরাসরি মুখের উপরে লাগিয়ে দিয়ে ৫ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন অন্তত একবার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে অনেকখানি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার জন্য-

ফেসপ্যাক-১

মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাক-২

তিল বেটে নিন অথবা গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছাঁকার পর একটা সাদা রঙের তরল পাবেন সেটা মুখে লাগান, বিশেষ করে রোদে পোড়া জায়গায়। আধা ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অচিরেই ত্বকের রঙ ফিরে পাবেন।

ফেসপ্যাক-৩

ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

ফেসপ্যাক-৪

তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।

ফেসপ্যাক-৫

আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই। এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে। 

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ঘরে তৈরি ক্রিম দিয়ে মুখমণ্ডল ফর্সা করার টিপস

আমরা অনেকে মুখ ফর্সা করার জন্য স্কিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকি। ব্লিচিং, হোয়াটিং ট্রিটমেন্ট সাময়িকভাবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল করলেও, স্থায়ীভাবে এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। তাই রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করার চেয়ে ঘরে তৈরি করা ক্রিম ব্যবহার করা অনেক বেশি নিরাপদ। ত্বকের রং যদি ফর্সা করতে চাইলে ঘরে তৈরি করে নিন নাইট ক্রিম। জেনে নিই বাজারের মত স্কিন হোয়াটিং নাইট ক্রিম তৈরি করার পদ্ধতি-

যা যা লাগবে
# ১/৪ কাপ কাঠ বাদাম

# ১/৪ কাপ টক দই ( ক্রিমী)

# ২ টেবিল চামচ কাঁচা লেবুর রস

# এক চিমটি হলুদের গুঁড়া

# ১/২ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া

# ১ চিমটি জাফরন

যেভাবে তৈরি করবেন
* বাদাম সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে পিষে পেস্ট করে নিন।
* এখন বাদামের পেস্ট, টক দই, লেবুর রস, হলুদের গুঁড়া, চন্দনের গুঁড়া, জাফরান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। খুব ভাল করে উপাদানগুলো মেশান যেন দানা দানা না থাকে।
* কাঁচা লেবুর রসের পরিবর্তে আপনি পাকা লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন।
* হলুদের গুঁড়া ব্যবহারে আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তবে আপনি হলুদ বাদ দিতে পারেন।
* ক্রিমটি তৈরি করার পর ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। সাথে সাথে ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহারের আগে কমপক্ষে এক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
* এক সপ্তাহের বেশি এটি সংরক্ষণ করবেন না।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
* ঘুমাতে যাবার আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে।
* প্রথমে হালকা কোন ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।
* মুখ ধোয়ার পর ক্রিমটি হাতে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করে মুখে লাগান। ক্রিমটি যেন ভাল করে মুখের সাথে মিশে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ক্রিমটি মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের কালো দাগ, ব্রণের দাগ , ব্ল্যাক হেডেস দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
* প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রাকৃতিক উপায়ে এবং ঘরোয়াভাবে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার ২টি পদ্ধতি। ★★দুধ ও কাঁচা হলুদ: রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পান করতে থাকুন। ★★কাঁচা হলুদ : শুধু দুধের সঙ্গে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ ফর্সা করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। উপকরণ : দুধ ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ। কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুধ, লেবুর রস ও হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের রং হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল, দাগমুক্ত ও সুন্দর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ডার্মোভিট ব্যাবহার করতে পারেন। এটা আপনার ত্বক থেকে তেল দূর করবে।আপনার ত্বককে সূন্দর উজ্জালতা দিবে। আপনার ত্বককে  দুষণ থেকে মুক্তি দিবে। মানে( ধুলা-বালি)  ত্বক সুন্দর রাখতে এটা খুবই কার্যকর। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ