প্রায় প্রতিটি পরিবারেই একজন করে বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ রকমের বাতের ব্যথার রোগ পাওয়া যায়, তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বাত জনিত ব্যথাকে (arthritis) অন্যান্য রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। আবার এমনটাও দেখা যায় বাত বংশগত ভাবেও হয়ে থাকে। ডাক্তার বাতের ব্যথায় ওষুধ দিলেও সেসব ওষুধের নানা ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ায় ঘরোয়া ভাবে এর উপশম করাই শ্রেয়।
আদাকে ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ আদা চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আপনার বাতের ব্যথা অনেকাংশে কমে আসবে।
গরম পানি দিয়ে গোসল
আপনার যেকোন ধরণের ব্যথা কমাতে গরম পানির তুলনা হয়না। সেই সূত্র ধরে বাতের ব্যথা কমাতে আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। যারা অতিরিক্ত বাতের ব্যথায় আক্রান্ত তারা নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করে দেখুন ব্যথা কমে যাবে।
পেপারমিন্ট
আমরা অনেকেই জানি যে পেপারমিন্ট মাথা ও দাঁতে ব্যথায় দারুণ কাজে দেয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এটি বাতের ব্যথার কষ্ট কমাতেও খুব কাজ করে। তাজা পাতা শুকিয়ে দুই তিনটি পাতা দুই কাপ পানিতে দিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট জাল দিয়ে সেটিকে এক কাপ পরিমাণে এনে এই পানীয় টুকু পান করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার বাতের ব্যথা কমে আসবে।
দারুচিনি ও মধু
দারুচিনি ও মধুর সম্মিলিত উপাদান বাতের ব্যথায় খুব কার্যকরী। এক টেবিল চামচ মধু ও হাফ টেবিল চামচ দারুচিনি পাউডার এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন নাশতার আগে গ্রহণ করলে বাতের ব্যথা কমে যায়। আপনার ব্যথার পরিমাণ অনুযায়ী দারুচিনি ও মধুর মাত্রা বাড়াতে পারেন।
হলুদ
বাতের ব্যথার অন্যতম সহজলভ্য ঘরোয়া প্রতিষেধক হলো হলুদ। এটি এমন একটি উপাদান যা সবার বাড়িতেই পাওয়া যায়। কিছু সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে হলুদের ব্যথা বিরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমূহ বাতের ব্যথার উপর সরাসরি কাজ করে।
BdMorning....