শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হলি/দোল উৎসবের ইতিহাস

রাধা কৃষ্ণ লীলা সম্পর্কে ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত
পুরানে বর্নিত
আছে ব্রক্ষ্মা বলছেন ” হে বৎস! আমার
আজ্ঞানুসারে আমার নিয়োজিত কার্য
করিতে উদযুক্ত হও।”
জগদ্বিধাতা ঈশ্বরের বাক্য শ্রবন
করিয়া রাধা কৃষ্ণকে প্রণাম করত: নিজ
মন্দিরে গমন করিলেন। ব্রক্ষ্মা প্রস্থান
করিলে দেবী রাধিকা সহাস্যবদনে সকটাক্ষ
নেত্রে কৃষ্ণের রদনমন্ডল বারংবার দর্শন
করত: লজ্জায় মুখ আচ্ছাদন করিলেন।
অত্যান্ত কামবানে পীড়িত
হওয়াতে রাধিকার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল।
তখন তিনি ভক্তিপূর্বক কৃষ্ণকে প্রণাম
করত: তাহার শয়নাগারে গমন
করিয়া কস্তুরী কুম্কুম মিশ্রিত চন্দন ও
অগুরুর পন্ক কৃষ্ণের বক্ষে বিলেপন
করিলেন এবং স্বয়ং কপালে তিলক ধারন
করিলেন।
তৎপর কৃষ্ণ রাধিকার কর ধারন
করিয়া স্বীয় বক্ষে স্থাপন করত:
চতুর্বিধ চুম্বনপূর্বক তাহার বস্ত্র
শিথিল করিলেন। হে সুমে ।
রতি যুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘন্টিকা সমস্ত
বিচ্ছিন্ন হইল, চুম্বনে ওষ্ঠরাগ,
আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলী,
শৃঙ্গারে করবী ও সিন্দুর তিলক
এবং বিপরীত বিহারে অলন্কাঙ্গুর
প্রভৃতি দূরীভুত হইল। রাধিকার সরসঙ্গম
বশে পুলকিত হইল। তিনি মুর্ছিতা প্রায়
হইলেন। তার দিবা- রাত্রি জ্ঞান থাকিল
না। কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-
প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ
আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার
করিলেন, পুর্নবার সেই
বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ
দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিলেন।
শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-
বিক্ষত হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন
নিপীড়নের
কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার
পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত
হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের
বাইরে আসতে পারছেন না। তখন শ্রীকৃষ্ণ
দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ
দেন। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত
করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার
বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের
আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই
থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়”।

সংগৃহীত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হোলি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের একটি অন্যতম উৎসব যা সাধারণত ‘হোলিকা’ নামে সুপরিচিত । চৈত্র মাসের শেষ পূর্ণিমাতে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের হলি খেলা অনুষ্ঠিত হয় । একে দোল পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে । এই উৎসবের ইতিহাসও পৌরনিক এবং চমকপ্রদ । যুগ যুগ ধরে হিন্দু সম্প্রদায় পালন এর আসছে হোলি উৎসব। এই হোলি উৎসবে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পালন করে থাকে। পৌরনিক কাহিনীগুলোর দিকে ফিরে তাকালে এই হলি উৎসবকে ঘিরে দুইটি উল্লেখযোগ্য কাহিনী বের হয়ে আসে । একটি প্রহ্লাদ ও হোলিকার কাহিনী এবং অন্যটি রাধা- কৃষ্ণের কাহিনী । হোলি মূলত বসন্তের উৎসব হলেও হোলিকে রংয়ের উৎসবও বলা হয়ে থাকে । ....প্রহ্লাদ ও হোলিকা কাহিনীঃ কথিত আছে পৌরনিক রাজা হিরায়ানকশিপু একদিন দাবী করে বসলেন যে এখন থেকে তাকে ঈশ্বর হিসেবে অর্চণা বা পুজো করতে হবে । তিনি নিজেকে বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রভু দাবী করেন। কিন্তু বাদ সেধে বসলো তার ছেলে রাজকুমার প্রহ্লাদ । সে মহান বিষ্ণু ছাড়া আর কাউকে ঈশ্বর মানতে নারাজ । রাজা তার ছেলেকে নানাভাবে চেষ্টা করলেন তার সামনে নতজানু করার কিন্তু প্রহ্লাদ তা প্রত্যাখান করে ।ফলশ্রুতিতে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে তার সৈন্য বাহিনীকে নির্দেশ দেয় প্রহ্লাদকে হত্যা করার। এভাবে নানাভাবে রাজা ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করে কিন্তু প্রতিবার তার চেষ্টা বিফলে যায়। নিরুপায় হয়ে দুষ্টু রাজা রাজকুমারকে হত্যার উদ্দেশ্যে যজ্ঞের আগুনে নিক্ষেপের জন্য তার বোন হোলিকা ’কে নিযুক্ত করে । হোলিকা প্রতিজ্ঞা করে রাজকুমারকে হত্যার । সে ঈশ্বরের কাছ হতে বর পেয়েছিল এবং সেই বরের প্রেক্ষিতে সে জানতো কখনও আগুনে পুড়বে না । সে প্রহ্লাদকে ধরে অট্র হাসি দিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেয় । প্রহ্লাদ এবারও বিষ্ণুকে ডাক দেয় এবং বিষ্ণু এবারও তাকে বাঁচায় । কিন্তু আগুনে ভস্ম হয়ে যায় হোলিকা । রাধা-কৃষ্ণ কাহিনীঃ এটাও বেশ প্রচলিত । হিন্দু অবতার শ্রীকৃষ্ণ একদিন বৃন্দাবনে রাধা এবং তার সখীদের সঙ্গে খেলা করছিলেন। সে সময় হঠাৎ শ্রী রাধা এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখী হয়ে লজ্জিত হন । শ্রীকৃষ্ণের মাথায় তখন একটি বুদ্ধি আসে। তিনি রাধার লজ্জা ঢাকতে এবং বিষয়টি তার সখীদের কাছ হতে শ্রী রাধা এবং তার সখীদের সাথে আবীর খেলা শুরু করেন । তাদের সবাইকে আবীর দিয়ে রাঙিয়ে দেন । শ্রীকৃষ্ণ-শ্রীরাধা এবং তার সখীদের এই আবীর খেলার স্মরণে হিন্দু সম্প্রদায় এই হোলি উৎসব পালন করে থাকে বলে প্রচলিত আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ