আমার বয়স 20। আমি হস্তমৈথুন করতাম অল্প পরিমানে। এখন বেশ অনেকদিন করিনা।করতেও চাইনা। কিন্তু উত্তেজিত হলে যদি আমি কোলবালিশ ব্যবহার করি এবং বীর্যপাত করি। তাহলে কি সেটা হস্তমৈথুন বলে গণ্য হবে? এই কাজ করলে কি কোনো সমস্যা হবে? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
DrRobin

Call

ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম । শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংগনকারী।

 হস্তমৈথুন বা অযথা বির্যপাত করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারেন সেগুলি হলো :-

পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায় ।

আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।

অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। )

অতিরিক্ত  মৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। Dr.Liu বলেন - "There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively"

যে কোন ভাবে মৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয় :-

Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ - বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় ।

মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুন বা অযথা অতিরিক্ত বির্যপাতের কারনে।

স্মরণ শক্তি কমে যায়  এবং চোখেরও ক্ষতি হয় ।

আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয়  Leakage of semen । 

মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন বা অযথা বির্যপাত রসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেন-

"যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । "

-(বুখারী ও মুসলিম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ