জান্নাতি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন যদি অন্য কোন জাহান্নামি ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করতে চায় তবে আল্লাহ্‌ কি করবেন?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হাশরের ময়দানে একমাত্র মহানবী (সাঃ) ছারা আর কেউ কারো জন্য সুপারিশ করতে পারবেন না।

“অতঃপর যখন কর্ণ বিদারক আওয়াজ আসবে। সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্মী এবং তার সন্তানদের কাছ থেকেও। সেদিন প্রত্যেকেই নিজের চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। (সূরা আবাসাঃ ৩৩-৩৭)”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জান্নাতে যেতে হলে, আল্লাহর রহমত নিয়ে যেতে হবে। সেই রহমত পাবার মাধ্যম ঈমান ও আমল।

 পরোকালে অনুরোধ বা সুপারিশ করে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। রাসুল (সাঃ) সুপারিশ করবেন শুধুমাত্র ঈমানদার ব্যাক্তির জন্য তাও আবার বিচারের সময় নয় - শাস্তি ভোগ করার পরে।।

তার সুপারিশ এর পরে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পেতে জাহান্নামে লক্ষ কোটি বছর পার হয়ে যাবে। 

সবচেয়ে বড় কথা - ঈমান নেই, বা নামাজ় পড়ে না, বা শিরক বা কুফুরী করে এমন ব্যাক্তির জন্য সুপারিশে হবে না। 

সুপারিশ ওই ব্যাক্তির জন্য যে ইমানদার মুসলমান , নামাজ পড়ে কিন্তু ছোট বড় পাপ করেছে।।

আর একটা কথা - আপনার পীর যত বড় কামেল বান্দা হোক না কেন সে রাসুল (সাঃ) এর চেয়ে বড় নয়।।

 যেখানে রাসুল (সাঃ) নিজেই রক্ষা করতে পারবে না  সেখানে সেই পীর কি পারবে তা বুঝতে আশা করি কষ্ট হবে না।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ