রাসূল (সাঃ) এর দাঁড়ি মোবারক কেমন ছিলো? রাসূল (সাঃ) এর কি মুষ্ঠি দাঁড়ি ছিলো? রেফারেন্সসহ জানতে চাই?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Md Ashif

Call
১-হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ গোঁফ নিশ্চিহ্ন করতে, আর দাড়ি বড় 
করতে নির্দেশ দিয়েছেন।{সহীহমুসলিম,হাদীসনং-৬২৪}

২-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।তিনি 
বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
ইরশাদ করেন,তোমরা গোঁফকে কর্তন কর এবং 
দাড়িকে লম্বা কর।তোমরা অগ্নিপূজকদের বিপরীত কর।{সহীহমুসলিম,হাদীসনং-৬২৬}

৩-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে,
আল্লাহ তাআলার ভর্ৎসনা ঐসব পুরুষদের উপর 
যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং 
ঐসব মহিলাদের উপর আল্লাহ তাআলার ভর্ৎসনা 
যারা পুরুষদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে। {সহীহবুখারী,হাদীসনং-৫৫৪৬,সহীহইবনে হিব্বান,
হাদীসনং-৫৭৫০}

দাড়ি থাকা পুরুষের নিদর্শন। আরদাড়ি না থাকা 
মহিলাদের নিদর্শন।তাই দাড়ি কেটে মহিলাদের 
সাদৃশ্য গ্রহণ এ হাদীসের ভাষায় নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

৪-রাসূলসাঃ এর যুগে মুশরিক ও অগ্নি উপাসকদের 
মধ্যে দাড়ি ছোটকরে রাখা বা দাড়ি মুন্ডন করার 
রীতি প্রচলিত ছিল।রাসূলুল্লাহ সাঃ তাঁর উম্মতকে 
বিশেষভাবে এসকল অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধিতা 
করতে এবং বড় দাড়ি রাখতে নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ 
করেন-হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত।রাসূল সাঃ 
ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর।
দাড়ি লম্বা কর।আর গোঁফকে খাট কর।আর ইবনে 
ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন,তখন তিনি 
তার দাড়িকে মুঠকরে ধরতেন,তারপর অতিরিক্ত 
অংশ কেটে ফেলতেন।{সহীহবুখারী,হাদীস নং-৫৫৫৩}

রাসূল সাঃ এর দাড়ি লম্বা ছিল এবং সাহাবী গণের 
দাড়িও লম্বা ছিল।
১-হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর বর্ণনা দিতে 
গিয়ে উল্লেখ করেন যে,“তিনি অনেক বড় দাড়ির 
অধিকারী ছিলেন।{সহীহইবনে হিব্বান,
হাদীসনং-৬৩১১,মুসনাদে আহমাদ,
হাদীসনং-৯৪৬}

২-হযরত জাবির বিন সামুরা রাঃ বলেন যে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের 
দাড়ি ছিল বেশি বা ঘন।{সহীহমুসলিম,হাদীসনং-৬২৩০,
মুসনাদে আবী ইয়ালা,হাদীসনং-৭৪৫৬}

ফক্বীহদের দৃষ্টিতে দাড়ির বিধান : 
উপর্যুক্ত হাদীস গুলোর আলোকে মুসলিম উম্মাহের 
ফক্বীহগণ একমত যে,দাড়ি বড় করা মুসলিমের 
গুরুত্ব পূর্ণদায়িত্ব এবং দাড়ি মুন্ডন করা বা “একমুষ্টি”
এর কম রাখা নিষিদ্ধ।পারিভাষিক মূলনীতির 
আলোকে কোন কোন ফক্বীহ দাড়ি রাখা “ফরজ”বলে 
উল্লেখ করেছেন। কেউ তা “ওয়াজিব”মত দিয়েছেন।
কেউবা “সুন্নাত”বলেছেন।পঞ্চম হিজরী শতকের 
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ওফক্বীহ ইবনে হাযম যাহিরী আলী 
ইবনে আহমাদ বলেন “দাড়ি ছেড়ে দেওয়া ও গোঁফ 
কর্তন করা ফরজ”।{আলমুহাল্লা-২/২২০}

চতুর্থ হিজরী শতকের অন্যতম মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ 
আবু আওয়ানা ইয়াকুব ইবনে ইসহক বলেন 
“গোঁফ কর্তন করা এবং তা ছোট করা ওয়াজিব ও 
দাড়ি বড় করা ওয়াজিব”।{ মুসনাদে আবী আওয়ানা-১/১৬১}

ষষ্ঠ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস  ও মালিকী ফক্বীহ 
কাযী ইয়াজ বলেন যে, “দাড়ি মুন্ডন করা,কাটা বা পুড়ানো 
মাকরূহ। তবে দাড়ির দৈর্ঘ ও প্রস্থ থেকে কিছু কাটা ভাল।
দাড়ি কাটা বা ছাটা যেমন মাকরূহ, তেমনি প্রসিদ্ধির 
জন্য তা বেশি বড় করাও মাকরূহ”।
{ফাতহুলবারী-১০/৩৫০,নাইলুল আওতার-১/১৩৬}

একাদশ হিজরীতে প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফক্বীহ মানসূর 
বুহুতী রহঃ বলেন যে,“দাড়ি মুন্ডন করা হারাম, 
এক মুষ্টির অতিরিক্ত দাড়ি কর্তন করা মাকরূহ নয়।{কাশশাফুলকিনা-১/৭৫}
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ