দুধ তিন টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ
যেভাবে ব্যবহার করবেন?
দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম জলে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।
নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে
আরো ফর্সা কোমল সুন্দর দাগ মুক্ত
১। ত্বক উজ্জ্বল আর ফর্সা করার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহন করা। যেমন অরেঞ্জ জ্যুস বা মুসাম্বি জ্যুস অথবা সকালবেলা ১ চামচ লেবুর রস ও আধা চামচ মধুসহ এক কাপ পানি খালি পেটে পান করুন। দেখবেন কেমন তরতাজা থাকবেন। ২। ত্বকের উজ্জ্বলতা আর সজীব থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ন আরেকটি উপাদান হল ভিটামিন এ। ত্বকের বাঁধন আর উজ্ব্বল কমপ্লেক্সনের জন্য আপনার খাবারে থাকা চাই নন-ফ্যাট মিল্ক, ডিমের কুসুম আর শেল ফিশ। এছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় আরো যেসব খাবার থাকা প্রয়োজন তা হল গাঁজর, তরমুজ, পাকা পেঁপে – যেগুলো রঙ্গিন। এসব রঙ্গিন খাবার আর সবজী বিটা ক্যারোটিন সম্মৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্যে অপরিহার্য। ৩। যথাসম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রখর রোদে বাইরে বেরুনোর সময় অবশ্যই ক্যাপ অথবা হ্যাট পড়ুন, সম্ভব হলে ছাতা ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর অন্ততঃ বিশ মিনিট আগে UVA and UVB Sunscreen মেখে নিন। ৪। মধু আর চিনির মিক্সার মেখে প্রাকৃতিক মাজুনি দিয়ে সারা শরীর আস্তে আস্তে ঘষে পরিস্কার করুন। গুঁড়া বা চূর্ন করা চিনি দিয়ে আস্তে আস্তে ত্বকে ম্যাসাজ করুন যতক্ষন না গলে যায়। প্রতিদিন দীর্ঘসময় ধরে এক্সফোলিয়েশন করার প্রয়োজন নেই, ৩-৫ মিনিটই যথেষ্ট। ৫। যারা তেমন শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত কাজের সাথে জড়িত নন যেমন গৃহবধু, তাদের জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম খুবই জরুরী। আর যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে চান, তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আঙ্গিনায়, পার্কে বা কোন ফাঁকা জায়গায় জগিং বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। ৬। ত্বক ভাল রাখার আরেকটি অন্যতম উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পানে ত্বক আর্দ্র আর টক্সিন ফ্রী থাকে। ৭। মাঝে মাঝে (মাসে অন্ততঃ একবার) কারো সাহায্য নিয়ে সারা শরীরে ক্যাস্টর অয়েল কিংবা অলিভ অয়েল সাথে ফ্যাট সুগার গ্রানিউলস মাখাতে পারেন। ৮। আপনি যদি ত্বকের নিবিড় পরিচর্চা চান, তাহলে মাসে অন্ততঃ একবার কোন নামকরা ক্লিনিকে গিয়ে মাইক্রোডার্মাব্রাসন পীল করিয়ে নিতে পারেন। এভাবে ৪-৬ বার করানোর পর বাসায় বসে আপনি নিজেই অন্যান্য নিয়মিত পরিচর্চার পাশাপাশি এই পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, বিশেষজ্ঞ্ররা মাইক্রোডার্মাব্রাসন পীল করাকালীন ব্লীচিংটা বাদ দিতে বলেন। অতএব ব্লীচিংটা এড়িয়ে চলুন। ৯। আপনি যদি রাসায়নিক পীল লাগাতে না চান, তবে ঘরে বসে ন্যাচারাল মাস্ক লাগাতে পারেন। যদি আপনার শরীরে মানিয়ে যায় তবে চাইলে আপনি ব্লীচও করতে পারেন। বাজারে বিভিন্নধরনের ব্লীচ প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। বেছে নিন আপনার পছন্দেরটি। উপরোক্ত মুখ ফর্সা করার টিপসগুলো নিশ্চিতভাবেই আপনার ত্বকের কমপ্লেক্সন আরো উজ্জ্বল করবে, আপনাকে করে তুলবে মোহনীয়।