শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আমলাতন্ত্র :

আমলাতন্ত্র এমন এক শাসনব্যবস্থা যাতে স্থায়ী সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব বিভাজনের মাধ্যমে সরকারের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। আমলারা জনপ্রতিনিধি নয় বা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। ফলে রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তিত হলেও আমলারা পদ হারায় না। এই চারিত্র্যের কারণে আমলাতন্ত্রে সরকার পরিচালনার ধারাবাহিকতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হয়।আমলা হচ্ছেন সরকারের অংশ যারা অনির্বাচিত। আমলাদের নীতিনির্ধারণ তৈরিকারক হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়। ঐতিহাসিকভাবে, আমলারা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন। যারা জনগণের ভোট দ্বারা নির্বাচিত নন। বর্তমান সময়ে, আমলাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বড় একটি অংশ পরিচালিত হয়। 

মানবাধিকারঃ

মানবাধিকার শব্দটি বিভাজন করলে আমরা দুইটি শব্দ পাই । একটি মানব, অন্যটি অধিকার। তাহলে মানবাধিকার হচ্ছে মানুষের অধিকার। তাই মানবাধিকার বলতে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা সহ মানুষের সকল ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে বুঝায়। মানুষের জীবন ধারণ ও বেঁচে থাকার অধিকার এবং মতামত প্রকাশের অধিকার,অন্ন বস্ত্র ও শিক্ষা গ্রহণের অধিকার,ধর্মীয়- সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অংশগ্রহণের অধিকার, সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারই হচ্ছে এক কথায় মানবাধিকার।আর এই মানবাধিকারের প্রধান বিষয়গুলো হলো জীবনধারণের অধিকার, সম্পদের অধিকার, মানমর্যাদা ও ইজ্জত রক্ষার অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গোপনীয়তার অধিকার, বিবেক ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা, আর্থিক নিরাপত্তা লাভের অধিকার, বসবাস, যাতায়াত ও স্থানান্তরের অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতার অধিকার, পারিশ্রমিক লাভের অধিকার, পেশা বা বৃত্তির- স্বাধীনতার অধিকার, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতার অধিকার, নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, আইনের দৃষ্টিতে সমতা ও শ্রমিকের অধিকার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাহলে মানবাধিকার হলো মানুষ হিসেবে তার মৌলিক সামগ্রিক ন্যায়সঙ্গত সকল অধিকার গুলোকে বুঝায়। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধিকার একই সাথে সহজাত ও আইনগত অধিকার। ব্যক্তি হিসেবে প্রতিটি মানুষ তার মানব অস্তিত্বের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার পাওয়ার যোগ্য। সর্বশেষ ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মহানায়ক। তিনি যে জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ছিল ভারসাম্যপূর্ণ ও সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্য কল্যাণকর। তিনি ছিলেন নিপীড়িত মানবতার মহান বন্ধু।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Fikar

Call

বৃহৎ ও জটিল পদসোপান সমৃদ্ধ সাংগঠনিক পদ্ধতিকে আমলাতন্ত্র বলে   ।  

মানবাধিকারের ধারণাটি আঠারো শতকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিকাশকালের ফসল। তবে সমসাময়িক মানবাধিকারের ধারণার উদ্ভব ঘটেছে সাম্প্রতিক কালে। মৌলিক অধিকারের ধারণার বিকাশ ঘটে মূলত ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র’ (ইউডিএইচআর)-এর মাধ্যমে, যা ১৯৪৮ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ধ্বংসযজ্ঞের অভিজ্ঞতা থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক একটি সনদ হিসেবে গৃহীত হয়। তবে মানবাধিকারের আলোচনা বিশ্বব্যাপি প্রসার লাভ করে বিশ শতকের চল্লিশ থেকে নববইয়ের দশকের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে। বর্তমানে যেকোন বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকারের ধারণা একটি প্রাথমিক কাঠামোগত ভিত্তি হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত।

মানবাধিকার বলতে বোঝায় মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা যা সকল মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। প্রচলিত ধারণায় এই অধিকারগুলো হচ্ছে অখন্ডনীয় এবং মৌল। তবে এ সকল অধিকার এবং স্বাধীনতা যেসব ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হোক, তা থাকবে বিতর্কের জন্য উন্মুক্ত। তাই দেখা যায় যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার (যা প্রথম প্রজন্মের অধিকার বলে বিবেচিত)।।।।।।।।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ