আসসালামু আলাইকুম । আমার সাথে ৩ দিন এমন টা হয়েছে , আমি ওজুর সময় কুলি করতে গিয়েছি হঠাত মনে হল এই মনে হয় পানি ঢুকে গেলো ( পানি ঢুকেছে কিনা সন্ধেহ ) তবুও আমি ইদের পরে তা কাজা করে নিবো , এমনটা ২ দিন হয়েছে , আর একদিন মিশোয়াক করতে করতে মিশয়াক আমার গলার ভিতর চলে যায় , তো আমার সাথে টোটাল ৩ দিন এমনটা হয়েছে , এখন আমি ইদের পর যদি তা কাযা করি তাহলে গুন্নাহ টা মাফ হবে , মতামত আশা করছি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রথম কথা হচে্ছ আপনি যখন ওজু করেছেন তখন গলায় অনিচ্ছাকৃত পানি গিয়ে থাকলে আপনার রোজার কোনো ক্ষতি হয় নি। এরপরও আপনি চাচ্ছেন কাজা রোজা রাখার জন্য। আপনার ঐ ৩টি রোজার কাফফারা হয়ে যাবে এবং এজন্য গুনাহ হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রামাযানের রোযা রেখে কেউ যদি ভুলক্রমে খানা-পিনা করে তবে তার ছিয়াম বিশুদ্ধ। তবে স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে বিরত হওয়া ওয়াজিব। এমনকি খাদ্য বা পানীয় যদি মুখের মধ্যে থাকে এবং স্মরণ হয়, তবে তা ফেলে দেয়া ওয়াজিব। ছিয়াম বিশুদ্ধ হওয়ার দলীল হচ্ছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,  مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ “যে ব্যক্তি রোযা রেখে ভুলক্রমে পানাহার করে, সে যেন তার ছিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্‌ই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন।” তাছাড়া ভুলক্রমে নিষিদ্ধ কাজ করে ফেললে তাকে পাকড়াও করা হবে না। আল্লাহ্‌ বলেন, رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا “হে আমাদের পালনকর্তা আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোন কিছু করে ফেলি, তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” (সূরা বাক্বারাঃ ২৮৬) আল্লাহ্‌ বলেন, আমি তাই করলাম। উপরোক্ত বিষয় পযা'লোচনা করে দেখা যায় যে আপনার রোজা হয়েছে ইনশাআল্লাহ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ