চিকিৎসা বিজ্ঞানে আপনর রোগ যাকে বলা হয় গাইনোকোম্যাস্টিয়া। এর কারণ : • বয়ঃসন্ধির সময় হরমোনের ভারসাম্য হারালে পুরুষের স্তনবৃন্তের নীচে টিস্যু তৈরি হতে পারে। • নিষিদ্ধ ড্রাগ, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ খেলেও হতে পারে এই সমস্যা। • গোইনোকোম্যাস্টিয়া কোনো রোগ নয়। এটি অন্য রোগের উপসর্গ মাত্র। • নারী শরীরে ওয়েস্ট্রোজেন হরমোন বাড়লে স্তনের বৃদ্ধি ঘটে। পুরুষ শরীরে স্তন বাড়তে পারে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেশি নিঃসরিত হলে। গাইনোকোম্যাস্টিয়ার চিকিৎসা : • তিন বছরের মধ্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তার জন্য প্রতি মাসে চিকিৎসকের কাছে স্তনের আকার মাপিয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। • গাইনোকোম্যাস্টিয়া রোধ করতে নিষিদ্ধ ড্রাগ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। • স্তনের আকার ছোটো করতে ওষুধও খেতে দেন চিকিৎসকরা। তাতে বৃন্তের নীচে গজিয়ে ওঠা টিস্যু নির্মূল হয়ে যায়। • অস্ত্রোপচার করানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। • যে রোগের উপসর্গ হিসেবে গাইনোকোম্যাস্টিয়ার আবির্ভাব, সেটি চলে যেতে পারে সেই রোগটি সারলেও।
এ ধরণের সমস্যা প্রধাণত দুটো কারণে হয়ে থাকে।এক, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা। দুই, অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন। সমস্যা যে কারণেই হোক না কেন আপনার উচিৎ হবে কতিপয় মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া। এক্ষেত্রে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে হরমোন পরীক্ষা, স্তনের মেমোগ্রাম (Breast Memogram) পরীক্ষা বা আল্ট্রাসনোগ্রাম (Breast Ultrasound) পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিন। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যা শুরুতে ভাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে সশরীরে পরামর্শ করুন।