ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আমি শুধু আমার মোবাইলটাতে নেট ব্যবহার করতে চাই।এক্ষেত্রে ওয়াইফাই রাউটার সর্বনিম্ন কতটাকায় পাওয়া যাবে এবং মাসিক সর্বনিম্ন কতটাকা বিল পরিশোধ করতে হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে, প্রযুক্তিকে যেন আমরা ঠিক আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে বাস করছি। প্রযুক্তির ব্যবহার এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমাদের প্রতিটি দিন যেন প্রযুক্তি ছাড়া প্রায় অচল। প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের একটি প্রয়োজনীয় পণ্য হল, ‘ওয়াই-ফাই রাউটার’। SP916NE-L3-1-sm20131225192028অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে, ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কানেকশন খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটির অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘রাউটার’ ব্যবহার। এই ‘রাউটার’ ব্যবহার করার আগে কিছু সেটিংস করে নিতে হয়। কেননা, রাউটার কিনে এনে, এর সিকিউরিটি কনফিগার ভালো মত না করলে, কানেকশনটি যে কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে, রাউটারের  ৫টি খুব গুরুত্বপূর্ণ উপায় জেনে নেয়া উচিত, যার মাধ্যমে রাউটারটি সেইফটি এবং সিকিউর বজায় থাকবে। ১. ‘ফার্মওয়্যার’ আপডেটঃ  রাউটারের অপারেটিং এর নিয়মাবলী অর্থাৎ রাউটারটি কীভাবে চলবে তা ‘ফার্মওয়্যারের’ মধ্যে দেয়া থাকে। রাউটারের স্ট্রাকচারের মাঝে একটি মেমোরি চিপের মধ্যে ‘ফার্মওয়্যার’ ইন্সটল করা থাকে। যদিও রাউটারের ‘ফার্মওয়্যার’ তৈরির সময় এর প্রোগ্রামিং স্ট্রাকচার প্রথম থেকেই বেশ স্ট্যাবল করেই তৈরি করা হয়, যার কারনে রাউটারের ফার্মওয়্যারের আপডেট তেমন প্রয়োজনে আসেনা। তবুও রাউটার কেনার পর এর ফার্মওয়্যারের আপগ্রেড ভার্শন বের হয়েছে কিনা চেক করতে হয়। এর কারন মূলত দুইটি। প্রথমটি হল, রাউটারটি বাজারে আসার পর ঠিক কতটা সময় পরে সেটা কেনা হয়েছে, তা কেউই সঠিক বলতে পারবে না। এক্ষেত্রে ‘ফার্মওয়্যারের’ আপডেট প্রয়োজনে আসতে পারে। আর দ্বিতীয়টি হল, অনেক সময় অপারেটিং সিস্টেমের কারণেও ফার্মওয়্যারের সমস্যা হতে পারে। তখন আপ-টু-ডেট সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য ‘ফার্মওয়্যারের’ আপডেট করা উচিৎ। ২. পাসওয়ার্ড নির্বাচনঃ  শুধু রাউটার নয়, ইন্টারনেট অথবা যে কোন তথ্য সংক্রান্ত কাজ নিরাপদে রাখার জন্য  জন্য পাসওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তথ্যের নিরাপত্তার লক্ষ্যে শক্ত এবং কিছুটা বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। ওয়াই-ফাই রাউটারের পাসওয়ার্ডের কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। এই ক্ষেত্রে  WPA2 সুবিধাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে সর্বোচ্চ ৬৩টি অক্ষর বিশিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। WPA2 ছাড়াও অন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। তবে সহজ পাসওয়ার্ড এড়িয়ে চলা ভালো। ওয়াইফাই রাউটারের পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার জন্য বেশ কিছু প্রোগ্রাম বাজারে পাওয়া যায়, তাই সঠিক ভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই নিরাপত্তা গ্রহন করা ভালো। ৩. ডিফল্ট লগিন পরিবর্তনঃ নতুন রাউটার ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ম্যানুফ্যাকচারার রাউটারের প্যাকেটের মাঝেই একটি নির্দেশিকা দিয়া থাকে যা ইন্টারনেটে পিডিএফ আকারেও পাওয়া যায়। অর্থাৎ খুব সহজেই গুগল অথবা অন্যন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোর সাহায্যে রাউটারের ডিফল্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায়। এই পরিবর্তনটা খুবই প্রয়োজনীয়। কেননা রাউটার কোম্পানিগুলো ম্যানুফ্যাকচারার ভেদে প্রাথমিকভাবে একই রকম ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে পণ্য বাজারজাত করে থাকে। এই ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ডগুলো বের করা খুব একটা কঠিন কিছুই নয়। তাই, কেনার পর পরেই একটু সময় নিয়ে প্রাথমিক ভাবে প্রি-ডিফাইন্ড ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। ৪. SSID পরিবর্তনঃ একটি রাউটারের সাহায্যে একই ইনপুট কানেকশনের প্রেক্ষিতে কয়েকটি আউটপুট কানেকশন সরবরাহ করা যায়। আর রাউটারের সাহায্যে একটি বা একের অধিক যতগুলি কানেকশনই তৈরি করা হোক, তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নাম ডিফাইন করা উচিত। রাউটার থেকে নতুন কানেকশন তৈরি করে সেই কানেকশনের যে নাম দেওয়া হয় সেটাই হল, SSID। এই SSID কিছু রাউটারে আগে থেকে প্রি-ডিফাইন করা থাকে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ SSID হয় সেই মডেল অথবা ম্যানুফ্যাকচারারের নামে। এসময়য় খুব সহজেই ডিফল্ট লগইন তথ্য পরিবর্তন করা যায়। তবুও অন্য যেকেউ ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে এর এক্সেস করে নিতে পারে। বোঝাই যাচ্ছে, SSID থেকে রাউটার সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশিত হতে পারে। তাই, SSID পরিবর্তন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই নামগুলোর মধ্যে এমন কিছু না থাকে যাতে তা সহজে কিছু চিহ্নিত করা যায়।

৫. ‘রিমোট এক্সেস’ সুবিধাঃ  ‘রিমোট এক্সেস’ সুবিধাটি হচ্ছে, এর মাধ্যমে রিমোট এক্সেসড করে রাখা রাউটারটি মাধ্যমে দূরের কোন কম্পিউটার থেকেও রাউটারটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। তাই যদি খুব বেশি ‘রিমোট এক্সেস’ এর সুবিধা ব্যবহারের প্রয়োজন হয় শুধু মাত্র সেক্ষেত্রেই এই সুবিধাটি চালু রাখা ভালো। হোম ইউজারদের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি দরকার হয় না। এর সুবিধার মাধ্যমে রাউটারটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের সাথে সাথে এর ফায়ারওয়ালের সাথেও সম্পর্কিত হয়। তাই অন্য কোন ব্যবহারকারী নেটওয়ার্কে ঢুকে খুব সহজেই সে ফায়ারওয়ালের মাধ্যমে রাউটারটিতে এক্সেস করতে পারবে।
রাউটারকে নিরাপদে রাখার জন্য, এই ৫ টি কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ