আপনার বাবা-মা মানুষের উস্কানি পেয়ে এমন কথা বলেছেন। তাদের উক্তি সম্পূর্ন ভুল নিচে তা প্রমান করা হলঃ
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ
বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। (সূরা যুমারঃ ৯)
বরং তিনি যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত তাদের জন্য আখেরাতে অপরিসীম প্রতিদান ছাড়াও দুনিয়াতেও তাদের মর্যাদা উচ্চ করেছেন।
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত,আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর। (সূরা মুজাদিলাঃ ১১)
এছাড়া কোরআনে জ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু অধিক প্রাপ্তির জন্য এতো উৎসাহ দেয়নি।
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃএবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা তোয়াহাঃ ১১৪)
এ থেকেই বুঝা যায়, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিন্মোক্ত বাণী মোটেও অতিরিক্ত নয়। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণের পথে চলবে আল্লাহ তায়া’লা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন। জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টিকরণে ফেরেশতারা তাদের ডানা বিছিয়ে দেয়। ইলম অন্বেষণকারীর জন্য আসমান ও জমিনের সবাই ইস্তিগফার করতে থাকে, এমনকি পানির নিচের মাছও। আবেদের উপর আলেমের মর্যাদা যেমন সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্রের উপর চাঁদের মর্যাদা। উলামাগণ আম্বিয়াদের ওয়ারিশ। আর আম্বিয়া কিরামগণ দিনার বা দিরহামের (অর্থকড়ির) ওয়ারিশ করেননি, তাঁরা ইলমের ওয়ারিশ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম লাভ করল, সে পূর্ণ অংশই প্রাপ্ত হলো”। (মুসলিম শরীফ)