ড্রাগন ফল কিভাবে চাষ করতে হয় জদি কেও জেনে থাকেন তাহলে সেটা কিভাবে জানান প্লিজ!!!

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Rt

Call

রোপণ :- ড্রাগন ফলের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হল জুন-জুলাই মাস। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট মে মাস থেকে অক্টোবর মাসে ফল সং করা যায়। শীতকালে এই গাছ ফুল দেয়া বন্ধ কর দেয়। ড্রাগন ফলের পুষ্টিমান ভক্ষণযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায়– পানি- ৮০-৯০ গ্রাম শর্করা- ৯-১০ গ্রাম প্রোটিন- ০.১৫-০.৫ গ্রাম আঁশ- ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম খাদ্যশক্তি- ৩৫-৫০ কিলোক্যালরি চর্বি- ০.১০-০.৬ গ্রাম ক্যালসিয়াম- ৬-১০ মি গ্রাম আয়রন- ০.৩-০.৭ মি.গ্রাম ফসফরাস- ১৬-৩৫ গ্রাম ক্যারোটিন- (Vitamin A থায়ামিন, রিব সামান্য ভিটামিন- বি-৩ – ০.২ – ০.৪মিগ্রাম ড্রাগন ফলের গুরুত্ব :- ১. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় সুস্থ চোখ উন্নয়ন করে। ২. আঁশ বেশি থাকায় হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ৩. আঁশ শরীরের চর্বি কমায়। ৪. এর প্রোটিন শরীরের বিপাকীয় কাজ সহায়তা করে। ৫. ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও সুস্থ দাঁত তৈরি করে। ৬. ভিটামিন-বি-১ কার্বহাইড্রেট বিপাক প্রক্রি মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। ৭. ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল ক এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ৮. ভিটামিন সি শরীরের কাটা, ভাঙা জোড়া লাগা সাহায্য করে। ৯. ভিটামিন বি-২ শরীরে ক্ষুধা তৃষ্ণা, যৌন বা প্রভৃতি মিটানোর আকাঙক্ষা উন্নয়ন ও পূরণ সাহায্য করে। ১০. ফসফরাস বেশি থাকায় কোষ কলা গঠন সাহায্য করে। রোপণ ও সার ব্যবস্থাপনা জমি ভালোভাবে চাষ করে গাছ থেকে গাছ দূরত্ব ৩ মিটার দিয়ে হেক্সাগোনাল ষড়ভোজী পদ্ধতি ব্যবহার করে এ গাছ লাগান ভালো। তবে অবস্থা ভেদে দূরত্ব কম বা ব দেওয়া যেতে পারে। ড্রাগন ফলের রোপণের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্ত ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ই্উরিয়া, টিএসপি এমওপি ১শ’ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স জিংকসালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে, গর্তের উপরে-নিচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখ দিতে হবে। ক্যাকটাস গোত্রের গাছ বি বছরের যে কানো সময়ই লাগানো যায় ত এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগান ভালো। কাটিংকৃত কলম প্রতি গর্তে ৪ থেকে করে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে যদি ভিয়েত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে পিলারের চারদিক কাটিংকৃত কলম চারা লাগিয়ে পিলারের সাথে বেঁধ দেওয়া হয়। কিন্তু যদি থাইল্যান্ড ও ফ্লো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে গর্তে স করে ৪ থেকে ৫টি কলম চারা রোপণ করা হয়। গাছ ১.৫-২.৫ মিটার লম্বা হয়। এজন্য এ গাছ উপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের বাঁশের খুটির সাথে উপরের দিকে তুলে দে হয়। এটি হলো ভিয়েতনাম সিস্টেম। এ উপরের দিকে ছোট মোটর গাড়ির চাকা বাঁশ চ্যাগারের মধ্যে সেট করে খুব সহজেই গাছের শাখাগুলোকে বাড়তে দেওয়া যায় এবং সিস্টেমকে বলা হয় শ্রীলংকা সিস্টেম। থাইল্যা ও ফ্লোরিডাতে দুপাশে দুটি খুঁটি পুঁতে ম তারের উপরে জাংলার মতো তৈরি করে গাছ জাং তুলে চাষ করা হয়। এ সিস্টেমকে বলা ফ্লোরিডা সিস্টেম। বংশবিস্তার এ ফলের বংশবিস্তার খুব সহজ। বীজ দিয়েও বিস্তার করা যায়। তবে এতে ফল ধরতে এ বেশি সময় লাগে তবে হবহু মাতৃবৈশিষ্ট্য ব থাকে না। সেজন্য কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্ করাই ভালো। কাটিং এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গা ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। সাধারণত বয় এবং শক্ত শাখা ১ থেকে ১.৫ ফুট কেটে হা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গো দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। ত এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। ত উপযুক্ত পরিবেশে ও প্রয়োজন অনুযায় কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়। প্রুনিং ও ট্রেনিং ড্রাগন ফল খুব দ্রুত বাড়ে এবং মোটা শাখা করে। একটি ১ বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা করতে পারে এবং ৪ বছরের বয়সী একটি ড্রা ফলের গাছ ১শ’ ৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি কর পারে। তবে শাখা প্রশাখা উৎপাদন উপযুক্ত ট্র ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দ গেছে যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে থেকে ১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। সংগ্রহের ৪০ থেকে ৫০টি প্রধান শা প্রত্যেকটি ১ বা ২টি সেকেন্ডারি শাখা অনুমো করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে টারসিয়ারী কোয়ার্টারনারী প্রশাখাকে অনুমোদন করা না। ট্রেনিং এবং প্রুনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্য ভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রুনিং করার অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয় করতে হবে। তানা হলে বিভিন্ন প্রকার রোগবা আক্রমণ করতে পারে। সেচ ব্যবস্থাপনা ড্রাগন ফল চাষে পানি খুব কম লাগে। শুকন মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিকাশ ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে দু’লাইন মাঝখানে ৫০ থেকে ১শ’ সেন্টিমিটার আকার নালা তৈরি করা যায়। এতে করে নালায় ১ বা ২দিন জমা রেখে গাছের মাটিতে রস সরবরাহ করা তবে মনে রাখতে হবে যে, এ গাছ অতিরি পানি সহ্য করতে পারে না। পানি ব্যবহারে সত হতে হবে। অসময়ে ফল উৎপাদনের কলা কৌশল বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টারে পরীক্ষামূলক চা দেখা গেছে যে ফল আসা শুরু হয় জুন মা এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ভিয়েতনামে শীতকালে দিবসের দৈর্ঘ্য বাড়িয় প্রতি ৪টি গাছের জন্য একটি করে ৬০ থেক ১শ’ ওয়াটের বাল্ব সন্ধ্যা থেকে ৫ থেকে ঘণ্টা জ্বালিয়ে রেখে ফল আনা হচ্ছে। এত সুবিধা হচ্ছে যে চাহিদা মোতাবেক সময়ে নেওয়া যায়। বালাই ব্যবস্থাপনা ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে তাবে কখনো কখনো এ গাছে মূলপঁচা, কান্ড গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়। মূলপচাঁ: গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পঁ যায়। এ রোগ হলে মাটির ভিতরে গাছের একটি দুটি করে পঁচতে পঁচতে গাছের সমস্ত পঁচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেক পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের করা ভালো। এ রোগটি Fusarium sp দ্বারা সংঘ হয়। কাণ্ড ও গোড়া পঁচা রোগ: ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হ পারে। এ রোগ হলে গাছের কাণ্ডে প্রথম হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে পরবর্তীতে ঐ অংশে পঁচন শুরু হয় এবং পঁ পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ রোগ দমনের জ যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডো থিওভিট ইত্যাদি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয় প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়। পোকা মাকড় ড্রাগন ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকা মাকড় একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝ এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিড বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্ হয়ে পড়ে। এ পোকা ডগার উপর আঠাল রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমো নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এত গাছের খাদ্য তৈরি ব্যাহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধা কমে যায়। এ পোকা দমনে সুমিথিয়ন/ডে ম্যালাথিয়ন এসব কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানি ২৫ মিলিলিটার বা ৫ কাপ ভালো ভাবে মিশিয়ে স্প্র করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ