বাবা,
তুমি কেমন আছো?
বলতে যদি একটিবার,
আমিও নাহয় দিতাম পাড়ি,
দেখতে তোমায় পরপার।
না হয় তুমি ভুলেই গ্যাছো-
কেমন আছি, খাচ্ছি কী?
যখন তুমি ছিলে কাছে-
বুঝিনি ঘরে অভাব কি?
মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে যেদিন-
একলা রেখে গেলে চলে,
দিনের আলো নিভলো সেদিন-
সূর্য হঠাৎ পড়লো ঢলে।
মায়ের মুখের কাড়লে হাসি-
ঘরটা জুড়ে কালো ছায়া,
বুঝিয়ে দিলে এই জগতে-
লুকিয়ে থাকে গভীর মায়া।
পাড়ার মানুষ বলতো মুখে-
ভাগ্য তোদের ভাল বটে,
নইলে কী আর এমন যুগে-
অমন কারো বাবা জোটে!
গর্ব করি তোমায় নিয়ে-
হতে যে চাই তোমার মতো,
আমার ছেলেও বলে যেন,
হয়না মানুষ বাবার মতো ।
বাবা
মনে পরে শীতের সকাল
তোমার কোলে লুকিয়ে থাকা,
মনে পরে সেই বিকেল
তোমার আঙুল ধরে হাটতে যাওয়া।
ইচ্ছে করে তোমার আদরে
ঘুমোবো আর একটিবার,
ইচ্ছে করে তোমার রক্তচক্ষু
আবার কাঁদাবে আমায়।
তোমার রক্তে আমার জন্ম,
তোমার শাসনে বেড়ে উঠা।
তোমার ঘামে দেখেছি জীবনের প্রতিচ্ছবি
চোখে দেখেছি বিজয়ের স্বপ্ন।
শীতের রাতে তোমার বুকে উষ্ণতা খুজি,
গ্রীষ্মের দুপুরে তোমার ছায়া'য় পাই শীতলতা।
আমি নত মস্তকে, তোমার চরণধূলি মেখে
হেটে যাই জীবনের পথে।
তুমি নাবিক মোর জীবন তরীর
তুমি বন্ধু শত আঘাতে,
তুমি সাহস তুমি প্রেরনা আমার অহঙ্কার
তুমি ঘুম ভাঙ্গানো পাখি আমার
প্রভাতে।
তুমি শ্রদ্ধা তুমি ভালবাসা
তুমি জীবন যুদ্ধে অঙ্গিকার,
তুমি সাহস তুমি শক্তি
তুমি রাহাবার পথ চলার।
আমার প্রতিটা কোষে আঁকা
তোমার অস্তিত্বের পদচিহ্ন।
ভালবাসি শুধু ভালবাসি
বাবা তোমাকে বড় ভালবাসি,
বহুদূরে থেকেও
বাবা তোমাতে ফিরে আসি।
তোমাকে বাবা তোমাকেই ভালবাসি
বাবা তোমাকে..…..…..…..…।
আদর-সোহাগ আর ভালোবাসার পরশে জড়িয়ে রেখেছো তুমি স্নেহের বাধনে, এলেম শিক্ষা, ধর্মভীরুতা সততায় গুরুজনদের সম্মান করা, সামাজিকতা শিক্ষা দাও। নিয়ম-নীতি মেনে চরিত্র গঠনের পথ দেখাও লেখাপড়া, খেলাধুলায় উৎসাহ যোগাও, বন্ধু বেশে সাহায্যের হাত বাড়াও জীবনকে ভালোবাসার বাহুডোরে সাজাও। তোমার আদর্শ ব্যক্তিত্বে খুঁজে পাই জীবনে বাঁচার স্বাদ, চলার পথ, বাবা তুমি মিশে আছো সব সন্তানের হৃদয়েরও গভীর হতে গভীরে, জীবনে নির্ভরতায় তোমার ছায়াতলে থাকি শরীরে আঘাত পেলে বাবা বলে ডাকি।