ফেরেশতাদের সংখ্যা অগণিত। কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ কাজের উপর ভিত্তি করে ফেরেশতাদের চৌদ্দটি শ্রেণীতে ভাগ করে থাকেন। যাদের মধ্যে চারজন উচ্চমর্যাদার ফেরেশতা বলা হয়ে থাকে।  

  •    হামালাত আল-আরশ: যেসমস্ত ফেরেশতা আল্লাহর আরশ ধরে রাখে।   
  • (১) জিবরাইল [আ.]: আল্লাহর দূত ও সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরেশতা। এই ফেরেশতার নাম তিনবার, ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরা ২:৯৭; ৯৮, ৬৬:৪)। সূরা ১৬:১০২ আয়াতে জিবরাইল ফেরেশতাকে পাকরূহ বা রুহুল কুদুস বলা হয়েছে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং সংবাদ আদান-প্রদান যেসব ফেরেশতার দায়িত্ব, জিব্রাইল তাদের প্রধান। জিব্রাইল-ই আল্লাহর নবীদের বা বাণীবাহকদের কাছে গমনাগমন করেন।    
  • (২) মিকাইল [আ.]: কুরআনের ২:৯৭ আয়াতে এই ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইনি বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। 
  • (৩)   ইসরাফিল [আ.]:এই ফেরেস্তা কিয়ামত বা বিশ্বপ্রলয় ঘোষণা করবেন। তার কথা কুরআন শরীফে বলা না হলেও হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।  
  •   (৪) আজরাইল [আ.]: তাকে কুরআনে মালাক আল-মাউত নামে অভিহিত করা হয়েছে। ইনি মৃত্যুর ফেরেশতা ও প্রাণ হরণ করেন।  
  •   সাতটি বেহেশতের ফেরেশতাগণ।  
  •   হাফাজা বা তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাগণ।   
  •  মুনকার ও নাকীর: কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাদ্বয়।  
  •   দারদায়িল     মালিক: জাহান্নাম বা নরক তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা।
  •      রেদওয়ান: জান্নাত বা স্বর্গ তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা।   
  •  জাবানিয়া: জাহান্নামে দায়িত্ব পালনকারী ফেরেশতাগণ।   
  •  নিয়ম শৃঙ্খলা পালনকারী ফেরেশতাগণ। 
এছাড়াও বিশেষ দুজন ফেরেশতা কিরামুন ও কাতিবীন প্রতিজন মানুষের ভালো-মন্দ কাজের হিসাব রাখেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

◾ফেরেশতা মিকাইল – কুরআনের ২:৯৭ আয়াতে এই ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইনি বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
◾ফেরেশতা ইসরাফিল – এই ফেরেস্তা আল্লাহর আদেশ পাওয়া মাত্র শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়ার মাধ্যমে কিয়ামত বা বিশ্বপ্রলয় ঘটাবেন। তার কথা কুরআন শরীফে বলা না হলেও হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
◾মালাক আল-মাউত – ইনি মৃত্যুর ফেরেশতা ও প্রাণ হরণ করেন।

বিশেষ শ্রেণীর ফেরেশতা যাদেরকে কুরআনে 'কিরামান কাতিবিন' (অর্থ: সম্মানিত লেখকগণ) বলা হয়েছে তাঁরা প্রতিটি মানুষের ভালো মন্দ কাজের হিসাব রাখেন। কবরে মুনকির ও নাকির নামের দুই ফেরেশতা মানুষকে তার কৃত কর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মালিক নামের ফেরেশতা নরক বা জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণ করেন এবং রিদওয়ান নামের আরেক ফেরেশতা জান্নাত বা বেহেশতের দেখভাল করেন বলে বর্ণিত আছে। ইসলাম, খৃস্টান ও ইহুদী ধর্ম ছাড়া হিন্দুধর্মেও ফেরেশতা তথা স্বর্গীয় দূতদের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে।

তথ্য: https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ