আপনি বিস্ময়ের এই উত্তরটি
দেখুন উপকার পাবেন।
বয়স বাড়লে চুল পাকবে , এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের চুল তরুণ কিংবা যুবক বয়সেই ‘পেকে’ যায়। চুলের এই দ্রুত ‘পাক’ ধরার কারণ স্বাস্থ্যগত।
মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অপরিণত বয়সে চুল পেকে যাওয়ার কারণ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও নানাবিধ অশান্তির কারণে মানুষের চুল পেকে যেতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন হরমোন এ জন্য দায়ী। অ্যাড্রেনালিন হচ্ছে বৃক্কীয় গ্রন্থি-নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। সাধারণত মানুষ ভীত বা রাগান্বিত হলে অ্যাড্রেনালিন হরমোন মানুষকে শান্ত ও স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ বা অশান্তির সময় এ হরমোনের কারণে মানুষের চুলের রং পরিবর্তিত হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা অ্যাড্রেনালিন হরমোন কীভাবে মানুষের শরীরে ব্যাপক ক্ষতি করে তা বের করতে কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে, গবেষকেরা শিগগিরই এ ব্যাপারে আমাদের আশার বাণী শোনাতে পারবেন। বের করতে পারবেন কীভাবে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষের নিজেকে রক্ষা করার উপায়। তখন হয়তো, মানুষের চুলও বুড়ো হওয়ার আগেই আর পেকে যাবে না
ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পেতেঃ
মশলা হিসেবে পেঁয়াজ একটি আবশ্যকীয় উপাদান। বাংলাদেশে কমবেশি সব রান্নাঘরেই পেঁয়াজ থাকে। আর পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ মাথার চামড়ায় ও চুলে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হয়ে যাবে। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে এই উপায় অনুসরণ করতে হবে।
আমলকি ও লেবু দুটোই আমাদের দেশে জন্মে এবং সহজলভ্য। এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি চামড়ার ইনফেকশন এবং মাথার চামড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফলের জুড়ি নেই। তাই অকালে চুল পাকা রোধের জন্য বাজার থেকে আমলকির গুঁড়া কিনে এনে তা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।