শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
প্রথমেই ইনকামের কথা বলে নিচ্ছি । আপনি যদি ভালো ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন এবং ভালো কাজ পারেন তবে আপনি ১৫০০০ টাকার বার তারও অনেক উপরে ইনকাম করতে পারবেন ।
আর যদি কাজ ভালো না পারেন তবে আপনার ইনকাম হবে ০০ ।
এখন ওয়েব ডেভেলপ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল ঃ

ইন্টারনেট তথা ওয়েবে যে কেউ তার প্রয়োজনীয় তথ্য, অডিও, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি জমা রাখতে পারে। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এগুলো জমা রাখা যায়। ওয়েবে এরুপ তথ্য রাখার স্পেস বা পেজকে ওয়েব পেজ বলা হয়। এটি এক বা একাধিক পৃষ্ঠার হতে পারে। প্রথমে যে পেজটি দেখা যাবে তাক হোম পেজ বলা হয়। ইন্টারনেটে সার্বক্ষনিক যুক্ত কোন বড় কম্টিউটারকে সার্ভার বলা হয়, এতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকার বিনিময়ে স্পেস বা জায়গা পাওয়া যায় যাতে ওয়েবসাইট রাখা যায়। ওয়েব পেজের অবশ্যই ঠিকানা থাকে, একে URL বলা হয়। একটি URL-এ একাটই ওয়েব পেজ থাকতে পারে। কোন ওয়েব পেজ যে বিষয়ে সেই বিষয়ে কেউ সার্চ ইন্জিনে সার্চ করলে সেই পেজটিকে খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। ইন্টার নেটে একটি ওয়েব পেজ খুলতে যা যা দরকার হয়: ১. ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে হবে, ২. ডোসেইন নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে, ৩. কোন সার্ভরে ওয়েব পেজটি টাকার বিনিময়ে রাখতে হবে, ৪. ওয়েব পেজটিকি আরো বেশি প্রচানমুখী করার জন্য সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন করা যেতে পারে। ওয়েব সাইট কি ? উত্তর: ওয়েব পেজ ও ওয়েব সাইট এক কথা নয়। একাধিক ওয়েব পেজের সমন্বয়ে একটি ওয়েব সাইট তৈরি হয়। একটি ওয়েব সাইটের ঠিকানা বলতে সাধারনত হোম পেজের ঠিকানাটিকেই বুঝায়। তবে ওয়েব সাইটের প্রতিটি পেজের ঠিকানাই আলাদা আলাদা হয়। ফ্রীতেও ইন্টারনেটে ওয়েব পেজ তৈরি, প্রকাশ ও ব্যবহার করা যায় তবে সেক্ষেত্রে অনেক সময় নিজস্বতা ব্যহত হয়। ওয়েব ডিজাইন কি ? উত্তর: ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক অবয়ব (টেমপ্লেট) তৈরী করা।ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট বানানো, এখানে কোন এপ্লিকেশন থাকবেনা।যেমন- লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করা এটাই ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলতে পারেন স্টাটিক ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইন শিখতে যাকিছু জানতে হবে এইচটিএমএল4.01 : এটা একটা মার্ক আপ ল্যাংগুয়েজ, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়। সিএসএস : এটাও মার্ক আপ ল্যাংগুয়েজ। ফটোশপ : এখানে যে মুল কাজটি শিখতে হবে তাহল পিএসডি থেকে এইচটিএমএল টেমপ্লেট/অবয়ব (PSD To HTML) বানানো এছাড়া ব্যানার, বাটন, এনিমেশন তৈরী করা এসব জানতে হবে। অতিরিক্ত হিসেবে ফ্ল্যাশ দিয়ে এনিমেশন তৈরী করা শিখতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ? উত্তর: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা।উপরে যে এপ্লিকেশনগুলির উল্লেখ করেছি এধরনের আরো হাজারো এপ্লিকেশন আছে, ওয়েব ডেভেলপারকে এসব এপ্লিকেশন তৈরী করতে হবে। বিষয়টি বেশি চ্যালেন্জিং এবং ডাইনামিক। আপনাকে এপ্লিকেশন ডিজাইন করতে হবে।তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি জানতে হবে ? উত্তর: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে আপনাকে জানতে হবে: এইচটিএমএল4.01 5, সিএসএস3 এবং এরপর নিচেরগুলি.. ক্লাইন্ট সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট : এটাকে ব্রাউজার স্ক্রিপ্টিং ও বলা হয় অর্থ্যাৎ এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোড শুধু কোন ব্রাউজারে (যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, গুগল ক্রোম ইত্যাদি) কাজ করবে।জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়।এরুপ একটি ফ্রেমওয়ার্ক জেকোয়েরি । সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন পিএইচপি : এটাকে সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং বলা হয় কারন এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোডগুলি শুধু সার্ভারে এক্সিকিউট হয়। ডেটাবেস : পিএইচপি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস সংযোগ করতে হয়,এসকিউয়েল দিয়ে ডেটাবেস বানানো অর্থ্যাৎ ডেটাবেস চালিত সাইট তৈরী করতে জানতে হবে কারন এখন যেকোন ডাইনামিক সাইটের ডেটাবেস আছে অথবা বলতে পারেন ডেটাবেস থাকতেই হয়। পিএইচপি এর যেকোন একটা ফ্রেমওয়ার্ক যেমন কোডইগনাইটার : (আরও আছে যেমন কেক পিএইচপি, জেন্ড ফ্রেমওয়ার্ক, সিমফনি, ওয়াই আইআই, কোহানা ইত্যাদি একটা শিখলেই চলবে) ; কোন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াও ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন তবে এতে বেশি সময় লাগবে এবং বেশি কোড লিখতে হবে। এক্সএমএল : ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরীর ক্ষেত্রে এক্সএমএল খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়।

সুত্রঃ agunbd.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ