দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দূর্নীতিই একমাত্র অন্তরায়।
পক্ষের পয়েন্টগুলো:
১. এদেশে দূর্নীতি না থাকলে শিক্ষা এবং যোগ্যতার মান থাকত। তখন মামু খালুর জোরে চাকরি হত না। বাংলাদেশ এত কম স্বাক্ষরতার দেশ, কিন্তু এই দেশেই হাজার হাজার অনার্স মাস্টার্স পাশ তরুণ বেকার। দূর্নীতির কারণে তাদের শিক্ষার কোনো মূল্যায়ন নেই। যার কারণে অযোগ্যরা কাজ পাচ্ছে। ফলে কাজ যথাযথভাবে এগুচ্ছে না। দেশের উন্নতিও হচ্ছে না।
২. দেশের উন্নয়ন না হওয়ার অন্যতম কারণ, বেকার সমস্যা। আর সেটা তৈরি হয়েছে এই দূর্নীতির কারণেই। যদি দূর্নীতি না থাকত, যদি মানুষ সৎ পথে চলত, তাহলে শিক্ষিতরা তো কাজ পেতই, মূর্খরাও কাজ পেত। আর শ্রমিকেরা পেত শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন। ফলে মানুষ কাজে আগ্রহী হত। তখন দেশ দ্রুত উন্নত হত।
৩. দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন দেশের হোমড়া চোমড়া লোকেরা। তাই দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছেন। কালো টাকার বাজার গরম হচ্ছে। ফলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেই টাকায় দেশের উন্নয়ন হওয়ার কথা, সেটা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ সবই হচ্ছে দূর্নীতির কারণে।
৪. দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচুর বিদেশী সাহায্য আসে। কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশই উন্নয়ন কাজে লাগে না। চলে যায় উচ্চ পর্যায়ের কারো লাগেজে, কারো গাড়িতে, কারো বাড়িতে। এসব বিদেশী অনুদান কাজে লাগালে দেশে অনেক উন্নয়ন হত।
৫. সরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা কত পার্সেন্ট কাজে লাগে, আর কত পার্সেন্ট হাতে হাতে চলে যায়, সেটা এদেশের নাগরিকমাত্রই জানেন। সরকার থেকে মন্ত্রী, এমবি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার হয়ে জনগণের কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এর কতটুকু বাকি থাকে, আল্লাহ মালুম!
যদি এই টাকার পুরোটাই উন্নয়ন কাজে লাগানো হত, তাহলে এ দেশ দ্রুত উন্নতি করত। দূর্নীতির কারণে দেশ এবং কৃষক শ্রমিকেরা দিনদিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণির লোক সেই টাকায় বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে!
মূলত দূর্নীতিই দেশের উন্নয়নের জন্য একমাত্র বাধা। তাই দূর্নীতি পুরোপুরি না ছাড়লে এদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
.
বিপক্ষের পয়েন্ট:
(আসলে আমি দূর্নীতির পক্ষে না। তাই এ ব্যাপারে পয়েন্ট বলাটা মানানসই না। তবে একটা পয়েন্ট বলি।)
দেশের উন্নয়নের জন্য দূর্নীতি একমাত্র অন্তরায় নয়। বরং আরো অনেক বিষয় আছে, যেগুলো দেশের উন্নয়নের জন্য বাধা। কারণ, দূর্নীতি বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও আছে। কিন্তু একারণে তাদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়নি। তাই দূর্নীতি দেশের উন্নয়নের জন্য একমাত্র অন্তরায় নয়।