সাথী করুণা করেও হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখি প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও, এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও, সাথী তোমার শাড়ির মতো অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি চুলের মতন কোন চিহ্ন দিও বিষ্ময় বোঝাতে যদি চাও। সাথী সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও, ফুল পাখি, সবুজ পাহাড় বর্ণনা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দাও। সাথী আজোতো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি আসবেন অচেনা রাজার লোক তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌছে দেবে।
****
সাথী
তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন, শিল্পীর রঙ্গের ছবি।
তুমি আমার চাঁদের আলো, সকাল বেলার রবি
তুমি আমর নদীর মাঝে একটি মাত্র কূল,
তুমি আমার ভালবাসার শিউলি বকুল ফুল…….
****
সাথী তুমি আমার বুকের অজানার
হাতছানি
মাঝরাতে বৃষ্টির শব্দ, প্রিয় চাহনি!!
তুমি শিশির ভেজা ফুলের একরাশ,
তুষার তনু মনে, তুমি উষ্ণ পরশ!!
তুমি প্লাবিত জল, কুয়াশাঢাকা শীতের চাদর
ভালবাসার আহবানে সিক্ত হেয়ালী অধর!!
তুমি শ্রাবণ সন্ধ্যা, প্রিয় উপন্যাস,
ভাললাগার ক্ষণ, কষ্টের চাপা দীর্ঘশাস!!
তুমি অস্তমিত সূ্র্য্য, স্রোতসিনী ঝরণা,
না পাওয়ার বুকে তুমি, শুকিয়ে যাওয়া কান্না!!
তুমি আমার বুকের গহিনে বয়ে যাওয়া নদী,
স্বচ্ছতার আলাপন,
তুমি আমার মন আমার অচেনা পৃথীবিতে
একান্ত চেনা আপন জন!!
****সাথী তুমি আমার মনের মধ্যে
প্রবহমান ঝর্ণা
এনে দিল ভালবাসার বন্যা।
ভাসিয়ে নিল স্মৃতির ভেলা
শুরু হল ভালবাসার খেলা।
খেলবো দু'জন, খেলবো নিশিদিন
শেষ হবে না কভু ভালবাসার ঋণ।
মন তাই উচ্ছ্বল, চঞ্চল
ছুটে চলেছে দিগন্তে বনাঞ্চল।
আটকে গেল হৃদয় কোঠরে
বলি, ঘুমিও না, জেগে ওঠরে।
আমি কবি এনেছি বারতা
অনামিকা তোমার জন্যই আমার
ভালবাসার কবিতা।
****সাথী তোমাকে শুধু তোমাকে চাই,
পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।
ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো
হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো
অপূণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো
এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল
জোয়ার এলো
এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে
নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে।
থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত
পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।
****সাথী অনেক সুন্দর তুমি,
তোমার ভালবাসায় এই তো কাছে দাঁড়িয়ে
আমি!!!
আকাশের চাঁদের পানে চেয়ে দেখি
নক্ষত্ররা গোল মিটি মিটি হাসছে
সবাই শুধু তোমার কথা বলছে!!
আমি অবাক হয়ে ভাবছি কি সুন্দুর তুমি!!
জোত্স্নার নীল আলো আমার চোখে
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমি!!
তোমার নীল রঙের শাড়ির আঁচলে
জোত্স্নার ফুলঝুরি!!
হাসছে প্রকৃতি
তুমি হাসছো ,হাসছে আমার চোখে!!
আকাশের চাঁদে আজ পূর্ণতা
সেই আলো ছড়িয়ে পড়ুক তোমার মুখে।
তোমার অপরূপ ভালবাসার মোহ যাচ্ছে
বয়ে যাচ্ছে জোত্স্নার আলোর মতো বয়ে
আমার বুকে!!!
সাথী যখনই তোমাকে প্রথম দেখেছি, তোমাকে তখনই ভালবেসেছি। তোমাকে আরো বেশি ভালবাসা, তোমাকে কাছে পাবার আশা, এই নিয়ে বাচার আশা। আমি তোমাকে বেসেছি ভালো, তুমিকি আমাকে বাসনা ভালো? ভালো যদি নাই বাসো শুধু তোমায় ভালবাসতে দিও। তুমি আমার প্রথম ভালবাসা, তাই তোমাকে নিয়ে অনেক আশা। দিওনা দিওনা ফিরিয়ে, ফিরিয়ে দিলে যাব যে মরে।
1.
সাথী যে দিন তোমায় আমি প্রথম দেখি ,
সেদিন থেকে হৃদয় মাঝে তোমার ছবি আঁকি।
কি অপরূপ তুমি ! দেখিনি আগে ,
যত দেখি তোমায় ততই ভালো লাগে ।
ভালো লাগার মাঝেও তুমি ভালো,
তাইতো তোমায় আমি বেসেছি ভালো ।
ভালোবাসা কোনো বিভেদ মানে না ,
এ মন তোমায় ছাড়া কিছু বোঝে না।
কি অপরূপ ! তোমার দুটি আঁখি ,
অপলক নয়নে শুধুই চেয়ে থাকি ।
চাহনি ভরা হাসি তোমার মায়া ভরা মুখ,
একবার দেখিলে যেন পাই স্বর্গের সুখ ।
দাওনা সাড়া সাথী তুমি আমার জীবনে ,
ছায়া হয়ে থাকবো আমি তোমার জীবনে।
অনেক আশায় বাড়িয়ে দিয়েছি হাতখানা,
রিক্ত হস্তে কভু ফিরিয়ে দিও না ।
তোমার কাছে শুধু আমার একটাই প্রশ্ন ,
আমার জীবনকে তুমি করনা বিপন্ন ।
2.
সাথী তোমার প্রেমে পাগল আমি
কি করে বলি গো তোমায় ,
বলতে পারি নাকো লাজে
এ বুক যেন ফেটে যায় ।
এ বুকের মণি কোঠায়
যতন করে রেখেছি তোমায়,
কখন আসবে গো তুমি
চেয়ে থাকি তোমার অপেক্ষায় ।
রূপরাজ্যের পরি গো তুমি
যেন ভোরের ফোটা ফুল,
শিশির ভেজা পাপড়ি তুমি
সুবাসে আমায় করে আকুল ।
বিধাতা যেন সুনিপুণ হাতে
পুষ্প দিয়ে গড়েছে তোমায়,
তাই ভ্রমর হয়ে সেই ফুলে
অবুঝ মন উড়ে যেতে চায় ।
তোমার পায়ের নুপুর ধ্বনি
সদাই বাজে মোর কানে ,
কাজল কালো আঁখি দেখে
শুধু চেয়ে থাকি তোমার পানে।
কি অপরূপ তুমি ! এ বসুধায়
তোমার মত গো কেহ নাই ,
অবুঝ মন তাইতো বলে যায়
কতইনা ভালোবেসেছি তোমায়।