বৃষ্টি
তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন, শিল্পীর রঙ্গের ছবি।
তুমি আমার চাঁদের আলো, সকাল বেলার রবি
তুমি আমর নদীর মাঝে একটি মাত্র কূল,
তুমি আমার ভালবাসার শিউলি বকুল ফুল…….
বৃষ্টি তুমি আমার বুকের অজানার
হাতছানি
মাঝরাতে বৃষ্টির শব্দ, প্রিয় চাহনি!!
তুমি শিশির ভেজা ফুলের একরাশ,
তুষার তনু মনে, তুমি উষ্ণ পরশ!!
তুমি প্লাবিত জল, কুয়াশাঢাকা শীতের চাদর
ভালবাসার আহবানে সিক্ত হেয়ালী অধর!!
তুমি শ্রাবণ সন্ধ্যা, প্রিয় উপন্যাস,
ভাললাগার ক্ষণ, কষ্টের চাপা দীর্ঘশাস!!
তুমি অস্তমিত সূ্র্য্য, স্রোতসিনী ঝরণা,
না পাওয়ার বুকে তুমি, শুকিয়ে যাওয়া কান্না!!
তুমি আমার বুকের গহিনে বয়ে যাওয়া নদী,
স্বচ্ছতার আলাপন,
তুমি আমার মন আমার অচেনা পৃথীবিতে
একান্ত চেনা আপন জন!!
2) বৃষ্টি তুমি আমার মনের মধ্যে
প্রবহমান ঝর্ণা
এনে দিল ভালবাসার বন্যা।
ভাসিয়ে নিল স্মৃতির ভেলা
শুরু হল ভালবাসার খেলা।
খেলবো দু'জন, খেলবো নিশিদিন
শেষ হবে না কভু ভালবাসার ঋণ।
মন তাই উচ্ছ্বল, চঞ্চল
ছুটে চলেছে দিগন্তে বনাঞ্চল।
আটকে গেল হৃদয় কোঠরে
বলি, ঘুমিও না, জেগে ওঠরে।
আমি কবি এনেছি বারতা
অনামিকা তোমার জন্যই আমার
ভালবাসার কবিতা।
3) বৃষ্টি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই,
পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।
ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো
হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো
অপূণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো
এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল
জোয়ার এলো
এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে
নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে।
থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত
পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।
4)
বৃষ্টি অনেক সুন্দর তুমি,
তোমার ভালবাসায় এই তো কাছে দাঁড়িয়ে
আমি!!!
আকাশের চাঁদের পানে চেয়ে দেখি
নক্ষত্ররা গোল মিটি মিটি হাসছে
সবাই শুধু তোমার কথা বলছে!!
আমি অবাক হয়ে ভাবছি কি সুন্দুর তুমি!!
জোত্স্নার নীল আলো আমার চোখে
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমি!!
তোমার নীল রঙের শাড়ির আঁচলে
জোত্স্নার ফুলঝুরি!!
হাসছে প্রকৃতি
তুমি হাসছো ,হাসছে আমার চোখে!!
আকাশের চাঁদে আজ পূর্ণতা
সেই আলো ছড়িয়ে পড়ুক তোমার মুখে।
তোমার অপরূপ ভালবাসার মোহ যাচ্ছে
বয়ে যাচ্ছে জোত্স্নার আলোর মতো বয়ে
আমার বুকে!!!
অভিমানে গেলে তুমি অসীম শূন্যতার নিকষ-কালো গহ্বরে
নিয়ে গেলে আমার দেহের সমস্ত ভূ-ভাগ পাহাড়,গিরি
অগ্নোৎপাত খরস্রোতা নদী সাগরেরঅবিশ্বাস্য সুনামি
শুধু রেখে গেলে জমাট বাঁধা কালো মেঘ আমার দু’চোখে
চোখের চারপাশ মেঘ কালো ঘুমন্ত আকাশ
থেমে থেমে বৃষ্টি বয়ে আনে চোখের পাপড়ি ছাপিয়ে
আমার চিবুক পেরুলেই তোমার উঠোন
আমার বৃষ্টির জল তোমার উঠোনে পড়ে।
প্রথম প্রহরে বলেছিলে,“তোমার দৃষ্টি তুমি কাউকে দিওনা সুনয়না”
প্রণয়াসক্ত তুমি আমাকে করেছ অনুগামী তোমার কথার মায়াজালে,
ছুঁইয়ে ছিলে কুমারী হৃদয়খানা বিমুর্ছিত প্রখর দীপ্তি দিয়ে
আমার চোখের তারায় তোমার আকাশের নক্ষত্রপূঞ্জ হেসে ওঠে
অনুভবে থেকে থেকে আসে সুমেরুবাহী প্রচন্ড বাতাস,
সমুদ্র ঢেউয়েরপ্রচণ্ড গর্জন বয়ে আনে প্রতপ্ত আগ্নেয়গিরির অগ্নোৎপাত
তারপর অকস্মাৎ অন্ধকার ঢেকে দেয় পৃথিবীর সমস্ত শরীর,
জানিনা কি কারনে তুমি হারিয়ে গেলে নিরবে নিঃশব্দে
অসীম শূন্যতার নিকষ-কালো গহ্বরে
ফেলে রেখে গেলে তোমার আকাশের বিবর্ণ মেঘ আমার দৃষ্টিতে
চেরাপুঞ্জির বিষন্নতা নিয়ে আমার চোখ তোমার নক্ষত্রপূঞ্জ খোঁজে
থেমে থেমে বৃষ্টি নেমে আসে চোখের পাপড়ি ছাপিয়ে
বিরামহীন বৃষ্টির জল তোমার উঠোনেই পড়ে থাকে হেলায়।
তুমি চাইলেই বৃষ্টি নামে অঝর ধারায় এ ভুবনে
তুমি চাইলেই খরা ।
নদীর দু’কূল উপচে উঠে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের শব্দ নিয়ে
এ... নদী এ... সাগর আকাশ নক্ষত্রপূঞ্জ উপগ্রহ সব তোমারই
আমার পৃথিবী শুধু আমার দুই চোখ “যৌবনবতী নায়গ্রা”
কতবার বাঁধসেধেছি বৃষ্টিকে তোমার উঠোনে যেন না গড়ায়
আঁচল ভিজে ভিজে আরেকটি মেঘ জমে গেছে
সমস্ত বৃষ্টিকে লুকোবার এত জায়গা কোথায় আমার !
তুমি চাইলেও বৃষ্টির জল আমি থামাতে পারব না
তাই তাকে বেঁধেছি আমার পরিশুদ্ধতার শেকলে
নায়গ্রার অনিঃশেষ জলধারা আমার পবিত্রতা ।
তোমাকে ফিরিয়ে আনবেই জলমগ্ন ক্লান্ত উঠোনে
কেননা আমার বৃষ্টির জল তোমার উঠোনে পড়বেই।।
তুমি কি আমার আকাশ হবে বৃষ্টি? মেঘ হয়ে যাকে সাজাব আমার মনের মত করে । তুমি কি আমার নদী হবে বৃষ্টি? যার নিবিড় আলিঙ্গনে ধন্য হয়ে তরী বেশে ভেসে যাব কোন অজানা গন্তব্যের পথে । তুমি কি আমার জোছনা হবে বৃষ্টি? যার মায়াজালে বিভোর হয়ে নিজেকে সঁপে দেব সকল বাস্তবতা ভুলে । তুমি কি আমার কবর হবে বৃষ্টি ? যেখানে শান্তির শীতল বাতাসে বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর ।