মাসিক শব্দের আরবি হচ্ছে "হায়েজ। মাসিক শুরু হলে তা আবার নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে গেলে অথবা,মাসিক বন্ধ হওয়ার পর পরে নাপাক থেকে পাক হওয়ার জন্য বা নিজেকে পবিএ করার জন্য গোসল করা ফরজ। ★ইমাম আবু হানিফা,আবু ইউচুফ,ওইমাম মুহাম্মদের মতে, মাসিকর সর্বনিম্ন সময় হচ্ছে তিন দিন তিন রাত। -----আর দীর্ঘতম সময়সীমা দশ দিন দশ রাত। ★ইমাম শাফেয়ীর মতে, সর্বোচ্চ সীমা ১৫ দিন। ★" মালেকের মতে, " " ১৭ "। ১ম দিন থেকে ১৭তম দিনের ভিতরে যার যত দিন হায়েজ থাকে তবে এই নির্ধারিত সময়ে গোসল করা যাবে না। হায়েজ বন্ধ হলে গোসল করে ফেলবে।
নিন্ম লিখিত সহিহ বুখারী শরীফের হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে মসিক অবস্থায় গোসল করা যাবে।
(১) কাবীসা (রহঃ)......... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানবাত অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ইযার পরে নিতাম, আর আমার হায়য অবস্থায় তিনি আমার সাথে মিশামিশি করে শুইতেন। তাছাড়া তিনি ই’তিকাফ অবস্থায় মাথা বের করে দিতেন, আর আমি হায়য অবস্থায় মাথা ধুয়ে দিতাম।
(২) মুসলিম (রহঃ)...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন আনসারী মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমি কিভাবে হায়যের গোসল করবো? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এক টুকরা কস্তুরিযুক্ত নেকড়া লও এবং তিনবার ধুয়ে নাও। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরপর লজ্জাবশত অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেনঃ তা দিয়ে তুমি পবিত্র হও। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি তাকে নিজের দিকে টেনে নিলাম। তারপর তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর কথার মর্ম বুঝিয়ে দিলাম।