পাগল হওয়ার অনেক কারন রয়েছে, যেমন টাকা, প্রেমে ছেকা, আপনজন হারানো ইত্যাদি। একটা উদাহরন দিয়ে বলি মনে করেন একটা মানুষ অনেক টাকা আয় করতেছে, ব্যবসা করতেছে কিন্তু হঠাৎ একদিন তাকে ধরে সব সম্পতির সই করে নিল কোনো একজন, তখন তার মস্তিষ্ক হৃদস্পন্দন কি কাজ করবে? কখনও না । তখন সে আত্মহত্যা করবে নয়তো পাগল হবে। সর্বোপরি বলতে পারি মানুষের যখন মস্তিস্ক ঠিকমত কাজ করেনা, মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তখন সে পাগল হয়।
মানুষের ব্রেন দুই বলয়ের সমষ্টি যা ডান বলয় বা বলয় নামে অভিহিত করা হয়। কিন্তু এই দুটির আড়াআড়ি সংযুক্তি (Cross-wired) থাকায় ডান বলয় নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের বাম অংশকে আর বাম বলয় নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ডান অংশকে। বাম বলয় নিয়ন্ত্রণ করে কথা ,শ্রুতি ,অংক, যুক্তি, ভাষা,ক্ষুধা ,হজম ও বৈষয়িক ভাবনা। আর ডান বলয় নিয়ন্ত্রণ করে কল্পনা ,আবেগ ,বিশ্বাস ,ঘুম,স্বপ্ন,সংগীত ,সৃজনশীলতা ,অতিচেতনা প্রভৃতি। সাধারণত এই দুই বলয় সংযুক্ত থাকে কর্পাস কলোসাম নাম স্নায়ুতন্তুর গোছা দ্বারা। কিন্তু কোনো কারণে যদি এই সংযোগ ছিন্ন হয় তাহলে দুই বলয় স্বাধীনভাবে কাজ করে অর্থাৎ মানুষ তখন কখনো হাঁসে কখনো আবার কাঁদে ,কখনো দৌড়ায় এক কথায় ব্রেনের দুই অংশ নিজেদের মতো করে কাজ করে যা আমরা দেখি পাগলদের মধ্যে।