শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

4 টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলোঃ যেনে নিন

আমাদের দেশি ফলের উপকারীতাঃ

image

১) চুল পড়া রোধ করে

পেয়ারার ভিটামিন সি চুল পড়া রোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও প্রতিদিন মাত্র ১ টি পেয়ারা খেলে চুল গজানোতে সহায়তা করে।

২) ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে

পেয়ারার প্রায় ৮১% পানি। সুরতাং পেয়ারা খেলে দেহ পানিশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পায়, ত্বক সুস্থ থাকে। পেয়ারার ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষাতেও কাজ করে। এছাড়া পেয়ারার ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধে সহায়তা করে।

৩) মস্তিস্কের সুরক্ষা করে

পেয়ারা আমাদের মস্তিষ্ক সুরক্ষায় কাজ করে। পেয়ারার ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ আমাদের মস্তিস্কের নার্ভ রিলাক্স করতে সহায়তা করে। এতে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪) নার্ভ ও মাংসপেশি শিথিল করে

পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক কঠিন পরিশ্রমের পরও আমাদের মাংসপেশি শিথিল করতে সহায়তা করে। এছাড়াও নার্ভ রিলাক্স করে, এতে করে আমরা আরামবোধ করি।

৫) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

পেয়ারার পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুতরাং উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা দিনে অন্তত ১ টি পেয়ারা খান।

৬) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে

পেয়ারা এবং গাজর দুটিতেই সমপরিমাণ রেটিনল বা ভিটামিন এ রয়েছে। যদি গাজর খেতে ভালো না লাগে তাহলে ১ টি পেয়ারা খেয়েও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারেন।

৭) হজম সমস্যা সমাধান ও ওজন কমানো

পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এতে হজমের সমস্যা সমাধান হয়। এছাড়াও পেয়ারা অনেক ভালো একটি স্ন্যাকস। অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা খান। অনেকটা সময় ক্ষুধার উদ্রেক হবে না। পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা কমাতেও বিশেষভাবে কার্যকরী।

image

১। পাকা আম ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। এটি ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আম ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

২। পাকা আম ত্বকের রোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ফলে মুখের ও নাকের উপর জন্মানো ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।

৩। পাকা আমের আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়তা করে। এতে আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৪। এ আমে আছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।

৫। এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৬। এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।

৭। আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে আম। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।

৮। পাকা আম টাশিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটি কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকেমিয়াসহ প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে আম।

৯। পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক এসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে

১০। আমের ভেশজ গুন আম আমাদের স্কিন ক্যান্সার সহ ভিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।

image

 কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরী আছে। তাই মাত্র একটি কলা খেলেই অনেক সময় পর্যন্ত সেটা শরীরে শক্তি যোগায়।

* অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওযন কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এসময়ে কলা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে এবং তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যায়।

* কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলা উপকারী।

* কলা অ্যান্টাসিডের মত কাজ করে। অর্থাৎ কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।

* কলায় প্রচুর আয়রণ আছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা খুবই উপকারী।

কলা বুক জ্বালা পোড়া কমায় এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড হ’তে দেয় না। বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় প্রতিদিন ভরা পেটে একটি করে কলা খেলে উপকার হবে।

* ডায়রিয়া হ’লে শরীরে পানি শূন্য হয়ে যায় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। এসময়ে কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং হার্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

* কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে, যা ত্বকের কোষের জন্য ভালো এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই ফ্যাটি এসিড চেইন পুষ্টি গ্রহণ করে।

image

১) লেবু ‘ভিটামিন সি’ এর ভাল উৎস। এ ছাড়া নানাবিধ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মোকাবেলা করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাল রাখে।

২) এতে থাকা প্যাকটিন ফাইবার মলাশয়কে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া শক্তিশালী এন্টিব্যাকটেরিয়া হিসেবেও কাজ করে।

৩) শরীরের পিএইচ মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখে।

৪) সকাল বেলায় গরম লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।

৫) হজমে সাহায্য করে ও পিত্তরসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

৬) সিটরিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফরফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের ভাল উৎস লেবুর রস।

৭) প্যাথজেনিক ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে। এ ব্যাকটিরিয়া ইনফেকশন ও নানাবিদ রোগের কারণ।

৮) শরীরের বিভিন্ন অংশের সন্ধিতে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৯) ঠাণ্ডায় লেবুর রস খুবই উপকারী।

১০) লিভার এ্যানজাইমের মাধ্যমে লিভারকে শক্তিশালী করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ