নীলা - মুহাম্মাদ আলি'ন অযোরিফ এলোমেলো মাথায় এলো গেলো নীলার কথাগুলো । দিনের শেষ আলোয় সমুদ্রে ডুবলো যখন চোখের আলো । লবনাক্ত জোনাকি হয়ে ভেসে উঠলো নীলার নীল চোখ গুলো । শুভ্র পেঁচা হয়ে উড়ে এলো নীলার স্বচ্ছ ছোঁয়া, ত্বক আমার সিক্ত হয়ে গেলো । পপি ফুলের ঘ্রান হয়ে এলো নীলার নিঃশ্বাস, ফুসফুস যেন আজ আমার নতুন বেগ পেল । অতঃপর পরক্ষনেই আঁধার হয়ে এলো নীলার নীলাক্ত অপমান, দম আমার বন্ধ হয়ে গেলো। আমি পালিয়ে গেলাম । পেছনে নয় সামনে...সাগরে, লোকালয় ছেড়ে সুদূরে । আর বলে গেলাম 'দৃষ্টি মোর বৃষ্টি হয়ে ঝরুক নীলার গায়, সকল গতি মোর লেগে থাকুক নীলার বালি মাখা খালি পায়
নীলা তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।
ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো
হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো
অপূণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো
এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো
এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে
নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে।
থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত
পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।
বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।
‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।
বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।
বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।
হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।