আমি কে???????
শতকরা একশ ভাগ সত্যি কথা হলো আমি একজন মানুষ তথা ''আশরাফুল মাহলুকাত'' বা বিধাতার সৃষ্টি জীবের মধ্যে শ্রেষ্ট জীব..যিনি আমাকে চোখ,কান.মাথা,বিবেক,বুদ্ধি এবং হাত-পা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন বলেই আজ আমি হাত দিয়ে লিখে প্রমান করে দিতে পারতেছি ''আমি কে'' প্রশ্নটির উত্তর..আমি প্রথমেই ছিলাম বুদ্ধি-জ্ঞানহীন একটি অবুজ নিষ্পাপ শিশু.তারপর আসতে আসতে আমার বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ভালো মন্দ বাজ বিচার করে আমি এখন আমকে একজন মানুষ বলে দাবি করি..আমি যখন পৃথিবীতে এসেছিলাম তখন হয়ত মাকেই সবার আগে চিনতে পেরেছিলাম কারণ আমি মায়ের দুগ্ধ পান করেছিলাম বলেই..তারপর আসতে আসতে বা কিংবা অন্যন্যরা..শিশু অবস্থায় আমি জানতাম না আমি কে,কি আমার পরিচয় কিংবা কে লালন পালন কর্তা কিংবা সৃষ্টি কর্তা..এখন আমি সবই জানি তাই আমি এখন আমাকে একজন মানুষ বলতে দিধাবোধ করিনা..সুতরাং আমি একজন মানুষ.
আমি/ আমরা পৃথিবীতে কেন এসেছি???
পৃথিবীতে আমরা কেন এসেছি বা আল্লাহ কেন আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন... এই বিষয় টা যদি ভালভাবে নিজের মাঝে ধারন করা বা জানা যায় তাহলে অনেকাংশে দুনিয়াবি অনেক চাওয়া ও অপ্রাপ্তির কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যাই।
কারন আমাদের তো জানাই আছে দুনিয়াটা হলো পরিক্ষাঘার। এখানে সবকিছু সবসময় চাইলেই পাওয়া যাবে না। এই দুনিয়াকে মানুষের জন্য সৃষ্টিই করা হয়েছে কষ্ট বা কঠিন বিষয় দিয়ে। কারন কষ্টকর বস্তু না থাকলে তো পরিক্ষায় হবে না। তাই জীবনে বারবার বিপদ, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা, মন খারাপ করার মত অসংখ্য ঘটনা ঘটবে। এইসব কে পরিক্ষার অংশ মনে করলে অনেকটা সহজ হয় চলার পথ।
আরেকটা বিষয়, এই জগতের সবাই প্রতিমুহূর্তে পরিক্ষা দিচ্ছে। কেউ পরিক্ষা দিচ্ছে হাসি বা আনন্দ দিয়ে কেউবা দিচ্ছে দুঃখ-কষ্ট দিয়ে। একেকজনের পরিক্ষার ধরন একেকরকম।
তাই সবসময় অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করে কিভাবে নিজের পরিক্ষায় ভালভাবে পাশ করা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত। আরো মনে রাখা উচিত কিভাবে রবের সন্তুষ্ট লাভ করে জান্নাত নামক সেই আরাধ্য প্রিয় জায়গায় নিজেকে নেয়া যায় সেইভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা। আল্লাহ আমাদের কে সৃষ্টি করছেন
তার ইবাদত করার জন্য।