ডিসমেনোরিয়ার যথাযথ চিকিত্সা নিলে
সন্তান হবে।
ডিসমেনোরিয়া হলো ঋতু কালীন কষ্ট বা যন্ত্রণাদায়ক মাসিক৷ মাসিক শুরু হওয়ার আগে থেকে বা মাসিকের শুরুতে অথবা মাসিক চলাকালীন তলপেটের ভীষন ব্যথা বা যন্ত্রণাই হলো ডিসমেনোরিয়া৷ সাধারনত অল্প বয়সী মেয়েদের এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে৷ ব্যথা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যেতে পারে৷ অনেক সময় বিয়ের পর কমে যায়৷
কারণসমূহঃ
মাসিক সম্পর্কে ভুল ধারণা
ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্যের অভাবে
প্রজেস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে
কোন ও কারণে জরায়ুর মধ্যে স্রাবের রক্ত জমাট বেঁধে গেলে ও জরায়ু বা রেবারে সংকুচিত হতে থাকলে
রক্ত স্বল্পতা
রুগ্ন ও দুর্বল (উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হলে)
মনের দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল, স্পর্শকাতর, ভাবপ্রবন, যারা সব কিছুতেই বিরক্তবোধ করে
খুববেশি আদরের বা অবহেলার মেয়ে হলে
মানসিক দুশ্চিন্তা
লক্ষণসমূহঃ
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে ব্যথা হয়
তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা
বমি বমি ভাব
মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
ঘন ঘন প্রস্রাব বা পায়খানা হতে পারে
কখনো কখনো দুই উরু পর্যন্ত ব্যথা হতে পারে
অনিদ্রা
অস্বস্তি
পরামর্শঃ
মাসিক সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা
কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করা
উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহন
নিয়মিত ব্যয়াম করা
দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করা
গরম পানিতে গোসল করা
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
চিকিৎসা: স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগযোগ করা উচিৎ৷