পড়ায় মন বসাতে যে ৭ টি কাজ করতে পারেন আপনি
১. লক্ষ্য ঠিক করুন :
আপনার লক্ষ্য নিশ্চয়ই ঠিক করাই আছে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার লক্ষ্যটিকে মনে করে আবার ঝালাই করুন। আপনি চাইছেন এবারের পরীক্ষায় যে করেই হোক একটা আকাক্ষিত পয়েন্টে নিয়ে যাবেন আপনার রেজাল্ট। এই লক্ষ্যে পূরণ করতে একটু নিবিষ্ট হন। দেখবেন আপনার মাঝে একটা জিদের উদ্ভব হয়েছে এবং আপনি আবারো পড়ায় মন দিতে পারছেন।
২. ক্ষুধা নিবারণ করুন :
এমন অনেক সময় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে আর পড়তে মন চায় না। এমনিতেই পড়তে বসলে একটু পর পর ক্ষুধা লাগে। এ ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন আপনার ক্ষুধা লেগেছে কিনা। যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে তা নিবারণ করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে আহার করে আবার পড়তে বসুন। দেখবেন এবার আপনার পড়ায় মন বসেছে।
৩. সময় সচেতন হোন :
নির্দিষ্ট মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে যে সময়ে পড়া খুব দ্রুত আয়ত্বে আসে। যেমন কেউ অনেক ভোরে পড়েন, কেউ সারাদিন পড়েন. কেউ আবার অনেক রাতে পড়েন। আপনার কোন সময়টাতে পড়া হয় সে সময়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে একটা রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। যে সময়ে পড়া হয় না সে সময়ে অযথা পড়তে বসে এ্যানার্জি নষ্ট না করে ঘুমিয়ে ব্রেনটাকে বিশ্রাম দিন।
৪. গান শুনুন :
গান শুনতে সবারই অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে। যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনি হয়ত অনেকক্ষণ ধরে পড়ছেন কিন্তু এমন একটা সময় উপস্থিত যখন আর পড়া মাথায় ঢুকছে না। এমতাবস্থায় আপনি কিছুক্ষণের জন্য গান শুনতে পারেন। এর ফলে আপনি মানসিকভাবে প্রশান্তি পাবেন এবং দেখবেন পড়ায় পুনরায় মনোযোগ ফিরে এসেছে।
৫. ঘুমিয়ে নিন :
অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে ব্রেনের রিফ্রেশমেন্ট হবে। এর ফলে খুব দ্রুত আবার পড়া ক্যাচ করতে পারবে আপনার ব্রেন। এজন্য অতিরিক্ত চাপ কমাতে অবশ্যই কিছুটা ঘুমিয়ে নিন।
৬. মিষ্টি জাতীয় খাবার খান :
মিষ্টি জাতীয় খাবার দেহে যাওয়া মাত্র সারা শরীরকে সতেজ করে তোলে। এছাড়া ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
৭. মেডিটেশন করুন :
মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়া মেডিটেশনের ফলে ব্রেন এর রিফ্রেশমেন্ট ঘটে। ফলে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় এবং তা বহুক্ষণ মনে থাকে।
কয়েকটি ধাপে মনোযোগ আনার চেষ্টা করুন— এক. স্থির করুন কী পড়বেন। আর তার আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিন কেন পড়ছেন। অর্থাৎ পড়ালেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। দুই. যদি ঘুম ঘুম লাগে তবে পড়তে বসবেন না। পত্রিকা পড়ে বা মজার কিছু করে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করুন। এটা মনে রাখবেন, ঘুম চোখে পড়লে শুধূ সময়ই নষ্ট হবে। কোনো কাজে আসবে না। এর চেয়ে ঘুমানোই ভালো। ঘুম চলে গেলে বই নিয়ে বসে যান। এবার দেখুন মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারছেন। তিন. যা পড়ছেন ভালোভাবেবুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। না বুঝে পড়লে কাজে আসবে না। আরেকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, যত অল্প কিংবা বেশি পড়েন না কেন, তা যেন মনযোগ সহকারে হয়। তাই পড়ার পরিবেশটা যেন সুন্দর হয় লক্ষ রাখুন। সুন্দর মানে কিন্তু ব্যয়বহুল নয়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৌন্দর্য অমূল্য। মনোযোগ আপনার বাড়বেই। পড়ায় মন বসাতে যে কাজগুলো করতে পারেন আপনি- ১. লক্ষ্য ঠিক করুন : আপনার লক্ষ্য নিশ্চয়ই ঠিক করাই আছে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার লক্ষ্যটিকে মনে করে আবার ঝালাই করুন। আপনি চাইছেন এবারের পরীক্ষায় যে করেই হোক একটা আকাক্ষিত পয়েন্টে নিয়ে যাবেন আপনার রেজাল্ট। এই লক্ষ্যে পূরণ করতে একটু নিবিষ্ট হন। দেখবেন আপনার মাঝে একটা জিদের উদ্ভব হয়েছে এবং আপনি আবারো পড়ায় মন দিতে পারছেন। ২. ক্ষুধা নিবারণ করুন : এমন অনেক সময় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে আর পড়তে মন চায় না। এমনিতেই পড়তে বসলে একটু পর পর ক্ষুধা লাগে। এ ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন আপনার ক্ষুধা লেগেছে কিনা। যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে তা নিবারণ করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে আহার করে আবার পড়তে বসুন। দেখবেন এবার আপনার পড়ায় মন বসেছে। ৩. সময় সচেতন হোন : নির্দিষ্ট মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে যে সময়ে পড়া খুব দ্রুত আয়ত্বে আসে। যেমন কেউ অনেক ভোরে পড়েন, কেউ সারাদিন পড়েন. কেউ আবার অনেক রাতে পড়েন। আপনার কোন সময়টাতে পড়া হয় সে সময়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে একটা রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। যে সময়ে পড়া হয় না সে সময়ে অযথা পড়তে বসে এ্যানার্জি নষ্ট না করে ঘুমিয়ে ব্রেনটাকে বিশ্রাম দিন। ৪. গান শুনুন : গান শুনতে সবারই অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে। যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনি হয়ত অনেকক্ষণ ধরে পড়ছেন কিন্তু এমন একটা সময় উপস্থিত যখন আর পড়া মাথায় ঢুকছে না। এমতাবস্থায় আপনি কিছুক্ষণের জন্য গান শুনতে পারেন। এর ফলে আপনি মানসিকভাবে প্রশান্তি পাবেন এবং দেখবেন পড়ায় পুনরায় মনোযোগ ফিরে এসেছে। ৫. ঘুমিয়ে নিন : অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে ব্রেনের রিফ্রেশমেন্ট হবে। এর ফলে খুব দ্রুত আবার পড়া ক্যাচ করতে পারবে আপনার ব্রেন। এজন্য অতিরিক্ত চাপ কমাতে অবশ্যই কিছুটা ঘুমিয়ে নিন। ৬. মিষ্টি জাতীয় খাবার খান : মিষ্টি জাতীয় খাবার দেহে যাওয়া মাত্র সারা শরীরকে সতেজ করে তোলে। এছাড়া ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ৭. মেডিটেশন করুন : মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়া মেডিটেশনের ফলে ব্রেন এর রিফ্রেশমেন্ট ঘটে। ফলে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় এবং তা বহুক্ষণ মনে থাকে।
ফেসবুকে সারাদিন পড়ে থাকলেও কিংবা মোবাইল এ ভিডিও গেম খেলার সময় ভুলেও মনযোগ হারাই না কিন্তু পড়তে বসলেই যেন মনযোগ জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়, কেন ? –পড়ার সময় দুনিয়ার ফালতু চিন্তা মাথায় আসে,যতই চাই দূরে থাকব ততই আঁকড়ে ধরে চিন্তা গুলো, কি করা যায় ? —পরীক্ষার চিন্তা মাথায় আসলেই শুধু পড়ার চাপ ফিল করি,অন্য সময় তেমন করি না,কেন এমন হয় ? আসুন জেনে নেই কিভাবে পড়ায় আগ্রহ ও মনযোগ তৈরি করা যায় তার কিছু সহজতম কৌশল— (১) প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কেন আপনি পড়ছেন। যখন আপনি বুঝবেন, এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তখনই আপনি আগ্রহী হবেন। আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে। অর্থাৎ আপনাকে জানতে হবে যে, কেন এই কাজটা গুরুত্বপূর্ণ। ২) মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।তাহলে দেখবেন আপনার সমস্ত মনযোগ ঐ পড়াটুকু কমপ্লিট করাতে নিবদ্ধ হবে। (৩) বিষয়ের বৈচিত্র রাখুন।ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাব্জেট পরুন। একঘেঁয়েমি আসবে না।নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন।রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারেন,এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে। (৪) এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে। এনার্জি যত বেশি, মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে এক ঘণ্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন,বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন।
যা ই করুন, করুন মন থেকে:
নো ম্যাটার ইট ইজ স্টাডিং অর প্লেয়িং, করুন মন থেকে। মনে একটা করছেন আরেক টা, এভাবে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। সো মন লাগিয়ে কাজে লেগে যান। আগে মন ঠিক করুন-তারপর শুরু করুন পড়াশোনা। দেখবেন সাফল্য পেতে বেগ পেতে হবেনা মোটেও।
পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করুন:
পড়াশোনা করতে গেলে চাই উপযুক্ত পরিবেশ। আপনার টেবিলের এক কোনায় কম্পু, আপনার বাম হাতে মোবাইল, ডান হাতে সিগারেট!!!এভাবে আর যাই হোক পড়াশোনা হবেনা!সুতরাং পড়াশোনার জন্য তৈরী করুন ডেডিকেটেড পরিবেশ। রিডিং রুমের লাইট কতটুকু হলে আপনার চোখের জন্য আরাম হবে, রুমের দরজা বন্ধ করার ব্যবস্হা আছে কিনা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল করুন। এবং অবশ্য অবশ্যই আপনার মোবাইল ফোন দূরে রাখুন। যদি পড়ার সময় গান শুনতে ভাললাগে তবে লো মিউজিকে গান শুনতে পারেন, তবে খেয়াল রাখুন এটা না আবার বিরক্তির পর্যায়ে না চলে যায়!
লক্ষ্য ঠিক করুন-রুটিন তৈরী করুন:
আপনার লক্ষ্যই আপনাকে সঠিক পথে চলতে সবচাইতে বেশি সাহা্য্য করবে। পড়াশোনার জন্য আপনার কতটুকুন সময় বরাদ্দ আছে, তা বের করুন। এবার প্রয়োজন অনুযায়ী রুটিন তৈরী করুন এবং রুটিনে স্হির থাকুন।
ফোকাস ম্যান-জাস্ট ফোকাস!
পড়া শুরু করার সময় আগে পুরো বিষয়টির উপর চোখ বুলিয়ে নিন। দেখে নিন যে বিষয়টি পড়বেন তার উদ্দেশ্য, সারাংশ ইত্যাদি। ঠিক করুন কোন অংশটি আপনার জন্য দরকারি।
বেছে নিন কোন উদ্দীপক:
সাফল্যজনক ভাবে যেকোন বিষয় পড়া শেষ করে বেছে নিন কোন একটি ইনসেনটিভ বা উদ্দীপক যা আপনাকে আরো উৎসাহ যোগাবে! ফোন করুন আপনার কাছের কাউকে,অথবা কিছুক্ষণ হাঁটুন, পছন্দের কোন খাবার খান। গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রজেক্ট অথবা পড়াশোনার সময় নিজের জন্য ভাল কোন উপহার নির্দিষ্ট করুন।
একই বিষয় অনেক্ষন নয়:
একই বিষয় অনেক্ষন ধরে পড়লে মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মনোযোগ ধরে রাখতে হলে বিষয় পরিবর্তন জরুরী। এক-দুই ঘন্টার বেশি কোন সাবজেক্ট একটানা না পড়া ই ভালো।
মূল্যায়ন করুন আপনার অগ্রগতি:
প্রতিদিন একটা সময় বাজেট করুন আজ কি কি করলেন, কতটুকু অগ্রগতি হলো। একটা গ্রাফ তৈরী করতে পারেন উইকলি অথবা মান্থলী।
সঠিক সময়ে সঠিক সাবজেক্ট নির্বাচন:
আপনার এনার্জি লেবেল যখন সবচাইতে ভাল থাকে তখন আপনার কাছে যে বিষয়টি সবচাইতে কঠিন মনে হবে, সেটা পড়বেন। এতে আত্বস্হ হবে তাড়াতাড়ি।
পুরস্কার দিন নিজেকে:
কোন একটি টাস্ক সঠিকভাবে শেষ করে নিজেকে দিন ভাল কোন পুরস্কার । এতে মনোযোগের সাথে তৈরী হবে উৎসাহও।