শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রেগনেন্ট শুধুমাত্র বীর্যের মাধ্যমেই হয়।

কাম রসে যদি সামান্য পরিমানও বীর্য যেয়ে 

থাকে তবে সেক্ষেত্রে প্রেগনেন্ট হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কামরসের মধ্যে যদি সঠিক পরিমাণ শুক্রকীট থাকে তবে অবশ্যই গর্ভবতী হবে। শুক্রকীট বলতে মাথামোটা ও সূক্ষ্ম লেজযুক্ত বেঙাচির আকারে একরকম জীবন্ত ও চঞ্চলগতি বিশেষ জৈবকোষকে বোঝায়। এরা যেন প্রত্যেক এককোষ-বিশিষ্ট এক একটি সুক্ষ্ম প্রাণী। প্রত্যেকটি শুক্রকীট মাত্র ১/৫০০ ইঞ্চি লম্বা, সুতরাং খুব শক্তিশালী লেন্সযুক্ত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া চর্মচক্ষে এদের দেখাই অসম্ভব। যতক্ষণ অণ্ডের মধ্যে বা তারই কাছাকাছি থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত এরা মোটে নড়াচড়া করে না। কিন্তু শুক্রথলিতে পৌঁছে অন্যান্য রসের সঙ্গে মিশ্রণ শুরু হলে তখন থেকেই এদের চাঞ্চল্যের শুরু হয়। এরা তখন লেজ নেড়ে নেড়ে জলের মাছের মতো শুক্রের মধ্যে সাঁতার দিতে থাকে। শুক্রের মধ্যে ভাসতে ভাসতে স্ত্রী-যোনিতে প্রবেশ করবার পরেও কিছুকাল এরা এই ভাবে চঞ্চল হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ঐ অবস্থায় অগ্রসর হতে হতে ক্রমে এরা জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে। সেখানে স্ত্রী-বীজের সাক্ষাৎ পেলেই তার সঙ্গে এদের মধ্যে কোনো একটির সংযোগ ঘটে। একটি মাত্র শুক্রকীটেরই একটি স্ত্রী-বীজের স্ত্রী-বীজের সঙ্গে সংযোগ ঘটতে পারে। তখন ওর মাথাটি স্ত্রী- বীজের বহিরাবরণ ভেদ করে তার ভিতরে গিয়ে প্রবেশ করে, আর লেজটি তার বাইরেই খসে পড়ে যায়। দুইটি বিপরীত জাতের বীজে মিলে গিয়ে এইভাবে তার থেকে নতুন এক ভ্রূণ জম্মায়। আর আস্তে আস্তে ভ্রূন থেকে সন্তানে জন্ম নেয়। শুক্রকীটের সংখ্যা বড় কম নয়। এক এক বারে পুরুষের যতটা শুক্রপাত হয় তার মধ্যে প্রায় পঁচিশ কোটি শুক্রকীট বেরিয়ে আসে। এগুলির মধ্যে প্রত্যেকটি সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে। কিন্তু তার মধ্যে সার্থক হয় দৈবাৎ একটি। বাকীগুলি সমস্তই বিনষ্ট হয়। আর প্রত্যেক বারের শুক্রপাতই যে সার্থক হবে,  মানুষের পক্ষে সেও সম্ভব নয়।

আশা করি, বুঝতে পেরেছেন। না, বুঝলে মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ